ইনসাইড পলিটিক্স

রাজপথ দখলে আবারও মাঠে নামবে সম্রাট-খালেদ?


প্রকাশ: 02/09/2022


Thumbnail

রাজপথ দখল করতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এবং তার সহযোগী খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া আবারও মাঠে নামছেন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা ধরনের গুঞ্জন উঠেছে। গত ২৩ আগস্ট  ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিনের পর গতকাল ১ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছেন যুবলীগের আরেক নেতা ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার সাবেক যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া। প্রায় আড়াই বছরেরও বেশি কারাভোগের পর সবগুলো মামলাতে জামিন হওয়ায় তারা এখন জামিনে মুক্ত হয়েছেন। মাত্র সপ্তাহের ব্যবধানে ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার সাবেক যুবলীগ এই দুই নেতার জামিন এখন নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

বলা হচ্ছে সম্রাট-খালেদ শুধু যুবলীগের নেতাই ছিলেন না, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তারা অন্যতম সংগঠক ছিলেন। এর প্রমাণ পাওয়া যায় জামিনে মুক্ত হওয়ার সময় তাদের সমর্থকদের জমায়েত। অন্য নেতারা যখন দুর্নীতি করেন বা দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে যুক্ত হন, তখন তারা দলেও নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন এবং দলের তৃণমূলের সঙ্গে তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু সম্রাট- খালেদের ক্ষেত্রে ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট দুঃসময়ে  আওয়ামী লীগের অন্যতম কাণ্ডারী ছিলেন।

ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এমন সময় জামিন পেলেন যখন জাতীয় নির্বাচনের মাত্র দেড় বছরেরও কম সময় বাকি আছে, যখন বিএনপি প্রতিদিন কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামছে, যখন পুলিশের সাথে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।   যখন ডিসেম্বরে কাউন্সিল এবং সামনে বিরোধী দলের আন্দোলনের কথা হচ্ছে। অন্যদিকে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে টালমাটাল আন্ডারওয়ার্ল্ড। ঠিক এ সময় সম্রাটের জামিন অনেক প্রশ্নের উদয় হয়েছে। এ রকম একটি পরিস্থিতির মধ্যে রাজনীতিতে সম্রাটের ভূমিকা কি হবে?

আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতাকর্মী বলছেন, ঢাকা মহানগরীতে বিপর্যস্ত আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে আওয়ামী লীগের প্রতিটি সভা-সমাবেশে গণ জমায়েত করার ক্ষেত্রে সম্রাটের ভূমিকাই মুখ্য থাকতো বলে মনে করা হচ্ছে। কর্মীবান্ধব হওয়ার কারণে দ্রুতই কর্মীদের সঙ্গে সম্রাটের সম্পর্ক হয়ে উঠে। নিজে বিভিন্নভাবে যে উপার্জন করেছেন, সেই উপার্জনের অর্থ বেশিরভাগই তিনি ব্যয় করেছেন সংগঠনের জন্য। কর্মীদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা করার কারণে তিনি দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। শেখ হাসিনার পক্ষে নেতাকর্মীদেরকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন। এভাবেই আস্তে আস্তে রাজনীতিতে তিনি একটি আলাদা বলয় তৈরি করেছেন। এমনকি নেতারাও তার উপর নানা বিষয়ে নির্ভরশীল।

এখনো সম্রাটের জনপ্রিয়তা এবং কর্মী সমর্থ অক্ষুন্ন রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যা বর্তমানে সময়ে আওয়ামী লীগের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতের প্রতিটি রাজনৈতিক আন্দোলনে যে দল ঢাকাকে দখল করতে পেরেছে তারা পরবর্তী নির্বাচনের জয়ী হয়েছে। সে বিবেচনায় সম্রাট-খালেদের জামিন হলো কিনা সে বিষয়টি বারবার রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত হচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগ তাদের সে সুযোগ দেবে কিনা বা সম্রাটকে কাজে লাগাবে কিনা ইত্যাদি নানা প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭