সাধারণত যেকোনো গনমাধ্যম, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কিংবা বিজ্ঞাপনী সংস্থার জন্য সৃজনশীল বিজ্ঞাপণ লেখার কাজটি করেন একজন কপিরাইটার। আকর্ষণীয় লেখনীর মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পণ্যের মান ও উপযোগিতা তুলে ধরেন একজন কপিরাইটার। কপিরাইটার সহজ ভাষায় যেকোনো বিজ্ঞাপনের স্ক্রিপ্টও লিখেন, যা পণ্যটির প্রচারে ব্যবহার করা হয়।
দারুণ সম্ভাবনাময় এক পেশা কপিরাইটিং। বর্তমানে এই বিভাগে অনেক দক্ষ কপিরাইটার থাকলেও নতুনদের জন্যও কাজ করার সুযোগ রয়েছে যথেষ্ট।
এছাড়াও সময়ের প্রেক্ষাপটে আধুনিক বিশ্বে বিজ্ঞাপণের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর ফলে এই বিজ্ঞাপনশিল্পে বাড়ছে কপিরাইটারদের চাহিদাও।
একজন কপিরাইটার যেকোনো বেসরকারী কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগে ফুলটাইম কাজ করতে পারেন। তবে বর্তমান সময়ে তরুণদের পার্টটাইম ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার সুযোগও রয়েছে অনেক। স্নাতকে উত্তীর্ণ হয়ে অন্তত বছর দুয়েকের অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো একটা কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ পেতে পারেন একজন কপিরাইটার।
এক্ষেত্রে কাজ ও দক্ষতা সাপেক্ষে গড় বেতন ২০ হাজার থেকে শুরু হতে পারে। তবে নতুনভাবে কাজ শেখা শিক্ষার্থীরাও চাইলে যুক্ত হতে পারেন এ পেশায়। উল্লেখ্য শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং করেই অনেক কপিরাইটার মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করে থাকেন। অবশ্য তার জন্য ভালো একটা পোর্টফোলিও থাকার কোনো বিকল্প নেই।
মূলত এ পেশায় যুক্ত হতে হলে ব্যবসায়িক ধারণা, ব্যকরণ ও ভাষাগত দক্ষতা, আকর্ষণীয় লেখনী ও গবেষণা করার দক্ষতা থাকতে হবে। এছাড়াও সৃজনশীল চিন্তাধারার ক্ষমতা একজন কপিরাইটারের পেশায় যোগ করবে এক নতুন মাত্রা।
প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে যেকোন বিষয়ের গ্র্যাজুয়েট হিসেবে কপিরাইটিং শেখা যায়। এর জন্য কোন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করলে ভালো অভিজ্ঞতা হয়। তাছাড়া কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ রাইটিংয়ের উপর শর্ট কোর্স বা ডিপ্লোমা ডিগ্রি অফার করে।
প্রথম দিকে জুনিয়র কপিরাইটার হিসেবে আপনি ক্যারিয়ার শুরু হলেও ধীরে ধীরে বড় প্রজেক্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা হলে পরবর্তীতে বড় এজেন্সিতে সিনিয়র কপিরাইটার হিসেবে পদোন্নতির সুযোগ থাকে।
তবে কাজের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ও সুনাম অর্জন করতে পারলে কোন প্রতিষ্ঠানের আওতায় চাকরি না করেও ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। তাই বর্তমানে ক্যারিয়ার হিসেবে কপিরাইটিং যে সম্ভাবনাময় তা বলাই যায়।