ইনসাইড পলিটিক্স

ফখরুলের যুদ্ধ ঘোষণা রাজনীতিতে লাশের প্রত্যাশা?


প্রকাশ: 04/09/2022


Thumbnail

হঠাৎ করেই যেন রাজপথ সহিংস হয়ে উঠেছে। গত তিনদিন ধরে সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। আর এ সব সংঘর্ষে কয়েক শতাধিক আহতের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিন থেকেই এই সংঘর্ষ ঘটছে। ফলে এই সংঘর্ষ বিএনপির পরিকল্পনা মাফিক কিনা সে প্রশ্নটিও বারবার উচ্চারিত হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বিরোধী দলের আন্দোলনকে স্বাগত জানিয়েছে এবং তাদের কর্মসূচিতে বাধা না দেওয়ার কথা বলেছেন তখন বিএনপির এ ধরনের সংঘর্ষ নানা রকম প্রশ্নের অবকাশ তৈরি করছে। কারণ এসব সংঘর্ষে ইতোমধ্যে লাশ পড়েছে। 

গত তিনদিনে হওয়া দেশব্যাপী বিভিন্ন সংঘর্ষের ঘটনাগুলোর তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে যে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে সভা সমাবেশের সময় এ ধরনের সংঘর্ষ হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিগত কয়েকদিনের বিএনপির এ সমস্ত সভা সমাবেশের কোনো প্রশাসনিক অনুমতি ছিল না। বিনা অনুমতিতে সভা সমাবেশ করলে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের নিরুৎসাহিত করলে দলটির নেতাকর্মী পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং পুলিশকে কেন্দ্র করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এর মাধ্যমেই বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে বিএনপির নেতাকর্মীদের মারমূখী আচরণ নিয়ে নানাবিধ প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি গত প্রায় ১৩ বছর ধরেই আন্দোলন করছে। কিন্তু কোনো আন্দোলনই দলটি সফলতা পায়নি। তবে বর্তমান যে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বিশেষ করে দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা। দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটের জন্য একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ অত্যাবশকীয়। আর এটাকে কাজে লাগাতে চায় বিএনপি। বিএনপির নেতাকর্মীরা চলমান সময়কে তাদের ট্যাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। আর এ কারণেই দলটির মহাসচিব সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এ ঘোষণার কারণ হলো সরকারকে চাপে ফেলা। এই চাপে ফেলতে হলে রাজপথকে সহিংস করে তুলতে হবে, রাজপথে লাশ ফেলতে হবে। তাহলে সরকার বিরোধী আন্দোলনের একটা প্রত্যাশিক প্রেক্ষাপট তৈরি হবে। আর এই কারণেই মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে উৎসাহিত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে সহিংসতার পরিবেশ তৈরি করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাহলে নারায়ণগঞ্জে ইতোমধ্যে যে লাশ পড়েছে তা কি বিএনপির প্রত্যাশিত ছিল? প্রশ্ন নানা মহলে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। কিন্তু তারা যদি অনুমতি না নিয়ে সভা সমাবেশ করে, বিশৃঙ্খলা তৈরি করে থাকে তাহলে পুলিশ বাধা দেবে সেটা তো স্বাভাবিক। কারণ পুলিশের দায়িত্ব হলো জনমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাই তাদের মুখ্য দায়িত্ব। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭