ইনসাইড বাংলাদেশ

২২ জন কারা?


প্রকাশ: 05/09/2022


Thumbnail

যেকোনো অস্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি ধারালো বা শাণিত তথ্য সন্ত্রাস। অস্ত্রের মাধ্যমে হয়তো কয়েকজনের জান মালের ক্ষতি হয় কিন্তু  তথ্য সন্ত্রাসের মাধ্যমে গোটা জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তির কারণে তথ্য সন্ত্রাস এক ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। দেশে দেশে তথ্য সন্ত্রাসীরা জেঁক পেতে বসেছে। বাংলাদেশও প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকে বিভিন্ন সময় এই তথ্য সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিউইয়র্কে এক নাগরিক সংবর্ধনায় তথ্য সন্ত্রাসীদের নিয়ে আইজিপির এক বক্তব্যে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন মহলে কানাঘুষা চলছে এই ২২ জন তথ্য সন্ত্রাসী কে?

জাতিসংঘ পুলিশ সামিটে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি নিউইয়র্কে এক নাগরিক সংবর্ধনায় ২২ জন তথ্য সন্ত্রাসীর কথা বলেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ। শুধু তাই নয় এই তথ্য সন্ত্রাসীরা যে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে বাংলাদেশের একটি সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চেষ্টা করেছে সেটিও আইজিপি উল্লেখ করেছেন। যাদের অনেকের অবস্থানে পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশে। তিনি এই ২২ তথ্য সন্ত্রাসীর ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু না বললেও তারা কোনো গোষ্ঠীর বা কোনো মতামতে বিশ্বাস করেন সেটার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলেন, স্বাধীনতা চায়নি, যারা পাকিস্তানের দোসর, যারা পঁচাত্তরের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিলেন এবং এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারাই এ সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত। তিনি জানিয়েছেন যে, এই ২২ জন তথ্য সন্ত্রাসীরা দেশ বিরোধী, জাতি ও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তিনি প্রবাসীদেরকে  আহ্বান জানান। আইজিপির দেওয়া এই ২২ জনের ব্যাপারে জানতে মানুষের কৌতুহল তৈরি হয়েছে। কারণ আইজিপি হলেন পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ নিবার্হী। উনি যা বলেছেন তা সঠিক বলেছেন। উনার কাছে তথ্য আছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

শুধু আইজপি নয় তার কিছুদিন আগেও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক সভায় একই কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যারা অপরাধ করে দেশ থেকে পালিয়েছেন তারাই দেশের বাইরে গিয়ে এখন দেশের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার করে দেশের অগ্রগতি রোধ করতে চায় তারা। সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য এবং পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ নির্বাহী হিসেবে তথ্য সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে আইজিপির মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখনই সময় এই সন্ত্রাসীদের পথ রুখে দিতে হবে। কারা এই ২২ জন তথ্য সন্ত্রাসী তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে জাতির সামনে তাদের মুখোশ উন্মেচিত করা দরকার এবং তাদের রূট উপড়ে ফেলতে হবে। নয়তো দেশের যে অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা চলমান রয়েছে তা মারাত্নকভাবে ব্যাহত হবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭