বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। যিনি তার স্টাইল আর অভিনয় দিয়ে মুগ্ধ করেছিলেন বাংলার দর্শকদের। তিনি নিজেই নিজের উদাহরণ। বলছি বাংলা সিনেমার স্বপ্নের নায়ক প্রয়াত সালমান শাহ’র কথা। মৃত্যুর ২৬ বছর পরও কমেনি তার জনপ্রিয়তা। দর্শদের মনে আজো বেঁচে আছেন তাদের স্বপ্নের নায়ক। অমর এই নায়কের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে অন্যান্য ভক্তদের মতই তাঁকে আজ স্মরণ করে ঢাকাই চলচ্চিত্রের মানুষেরা। সালমান শাহকে নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে কথা হল হালের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহির।
হালের এই জনপ্রিয় নায়িকা বলেন, সালমান শাহকে নিয়ে তার কিছু কথা। মাহি বলেন, ছোট বেলা থেকে যদি কোন স্বপ্নের নায়ক থাকেন আমি বলবো আমার ছিল সালমান শাহ। তার অভিনয় তো আছেই পাশাপাশি তার স্টাইল এখনো বর্তমান সময়ের তরুণেরা ফলো করে। শুধু বাংলাদেশ নয় বলিউডেও তার এখনো স্টাইল ফলো করা হয়। আমার দেখা এমন অভিনেতা কমই আছে যার মৃত্যুর পর তার ভক্তরাও আত্মহত্যা করে।
মাহি আরও বলেন, নায়ক হলে এমনই হওয়া উচিত যাকে যুগের পর যুগ মানুষ মানুষ মনে রাখবে। পৃথিবীতে না থেকেও শতাব্দীর পর শতাব্দী মানুষের মাঝে সেই আগের মতই আছেন। আর সালমান শাহ হলেন সেই আসল নায়ক। তবে তাকে নিয়ে আমার একটা আফসোস সব সময় থেকেই যাবে। তিনি যে আসলে কতটুকু সবার ভালোবাসার পাত্র তা তিনি দেখে যেতে পারলেন না। তিনি যদি একবার উপর থেকে বুঝতে পারেন যে সেই আগের মতই তাঁকে সবাই ভালোবাসে এখনো তাহলে তিনি হয়তো আরও শান্তি পাবেন।
সালমানের পারিবারিক নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সালমান বড়। ছোট ভাই শাহরান চৌধুরী ইভান। ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের দারিয়া পাড়ায় নানার বাড়িতে জন্মগ্রহন করেন এই নায়ক।
১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মাধ্যমে ঢাকাই ছবিতে অভিষেক ঘটে দুই নতুন মুখের– সালমান শাহ ও মৌসুমী। ১৯৯৪ সালে সালমানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘অন্তরে অন্তরে’ ও ‘স্নেহ’ নামের দুটি ছবিতে অভিনয় করেন মৌসুমী। এই জুটির সর্বশেষ ছবি ‘দেনমোহর’ (১৯৯৫) ।
ঢাকাই ছবিতে সফল জুটির শীর্ষে অবস্থান সালমান-শাবনূরের। প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা জহিরুল হক দুই নবাগতকে নিয়ে নির্মাণ করেন ‘শুধু তুমি’ (১৯৯৪)। এটি সালমানের দ্বিতীয় ছবি। শাবনূর এর আগে সাব্বির, মেহেদী, অমিত হাসানের সঙ্গে কয়েকটি ফ্লপ ছবি করেছেন। সালমানের শেষ ছবিতেও নায়িকা ছিলেন শাবনূর।
‘সুজন সাথী’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘মহা মিলন’, ‘বিচার হবে’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘জীবন সংসার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘প্রেম পিয়াসী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বুকের ভিতর আগুন’– মোট ১৩টি ছবিতে অভিনয় করেছেন এই জুটি।