চীনে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর দুর্গতদের জীবন বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তারপরও মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, আহত আড়াই শতাধিক। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ২৬ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

২০১৭ সালের পর থেকে সিচুয়ানে হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে বহু ভবন ধসে পড়েছে। টেলিযোগাযোগ, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিজিটিএন জানিয়েছে, ভূমিকম্পে তিন শতাধিক বেইস স্টেশন ও ১৩৪ কিলোমিটার অপটিক ফাইবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে ১৬ হাজারেরও বেশি গ্রাহক নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭৭টি বেইস স্টেশন চালু করার পাশাপাশি প্রায় ২২ হাজার পরিবারের বিদ্যুৎসংযোগ সচল করা গেছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়া প্রায় ১০০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পাঠিয়েছেন দমকলকর্মীরা।

বুধবার থেকে ভূমিকম্প দুর্গত অঞ্চলটিতে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। এতে উদ্ধারকাজ আরও কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় সোমবার সিচুয়ান প্রদেশের কাংডিং শহরেরে প্রায় ৪৩ কিমি দক্ষিনপূর্বে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পে প্রাদেশিক রাজধানী চেংডু ও দূরবর্তী প্রদেশগুলো কেঁপে ওঠে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পের আঘাত এতটাই ছিল যে সিচুয়ান প্রদেশের রাজধানী চেংডুতেও তা অনুভূত হয়, যেখানে লাখ লাখ মানুষ করোনা পরিস্থিতির কারণে চলাচলের বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে। 

সিচুয়ান প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে জুনে সিচুয়ানে ৬ দশমিক ১ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়েছিল। তবে ২০১৭ সালের আগস্টে সিচুয়ানের আবা প্রিফেকচারে হওয়া ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এবারেরটিই ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী।