আজ হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী’র ১৩০ তম জন্মবার্ষিকী। ৮ সেপ্টেম্বর ১৮৯২ সালে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম। তিনি ছিলেন বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দির কনিষ্ঠ সন্তান।
তিনি একজন পূর্ব বাঙালি রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী ও যুক্তফ্রন্ট গঠনের মূল নেতাদের মধ্যে অন্যতম। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, তাই সুধী সমাজ কর্তৃক ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত হন। গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করে গেছেন এই মহান নেতা। সাংবিধানিক শাসনে বিশ্বাসী ও বাস্তববাদী রাজনীতিবিদ হিসেবেও তিনি এ দেশের গণসংগ্রামের ইতিহাসে সুপরিচিত। পাকিস্তানী আমলে পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের বিভিন্ন অনাচার ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সরব ও সক্রিয় ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন যে রেসকোর্স ময়দানে দিয়েছিলেন তাঁর ৭-ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, সেই স্থানটিকে স্বাধীনতার পর নামকরণ করা হয় এই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নামে। ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান’ নামে পরিচিত জায়গাটি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম রূপায়িত হয়েছে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। আর সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একজন পুরোধা হিসেবে সোহরাওয়ার্দী স্মরণীয় হয়ে থাকবেন সবসময়
১৯৬৩-এর ৫ ডিসেম্বর লেবাননের একটি হোটেলে নিঃসঙ্গ অবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকার হাইকোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে প্রখ্যাত এই নেতার সমাধি রয়েছে।