‘শীতের আগে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমবে না’

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, এখনকার সময়টা ডেঙ্গু রোগের জন্য উপযুক্ত সময় বলা যায়। এর মধ্যে আবার মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে । বৃষ্টির সঙ্গে ডেঙ্গু রোগের একটি সম্পর্ক আছে। কারণ থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির ফলে ঘরে-বাইরে যেকোনো জায়গায় পানি জমে। পরিত্যক্ত ক্যান, টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের প্যাকেট এই রকম পরিত্যক্ত যেকোনো জিনিসের মধ্যে অল্প অল্প বৃষ্টির পানি বিক্ষিপ্তভাবে জমে যায়।

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, পরিত্যক্ত এসব জায়গায় জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু মশা জন্ম নেয় এবং এই ডেঙ্গু মশা আবার মানুষের ঘরে যায়। ঘরে গিয়ে সেখানেও বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানি ডেঙ্গু মশা বংশবিস্তার করে। এখন যেহেতু মশার বংশবিস্তার হচ্ছে, মশার প্রজনন ক্ষেত্রও রয়ে গেছে। সুতরাং ডেঙ্গুর এই প্রাদুর্ভাব শীতের আগ পর্যন্ত থাকবে।

তিনি বলেন, যারা প্রথমবারের মতো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় তারা তেমন সিরিয়াস হয় না কিন্তু যারা দ্বিতীয়বার বা তৃতীয়বারের মতো আক্রান্ত হন তারা অনেক সিরিয়াস হন। এরা সিরিয়াস হন কারণ নিশ্চিত তারা এর আগেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক প্রথমে যখন জ্বর আসে তখন চিকিৎসকের কাছে যায় না। যখন খুব সিরিয়াস তখন তারা চিকিৎসকের কাছে যায় যে কারণে তারা বেশি সমস্যায় পড়েন। এছাড়া বাচ্চারা তুলনামূলকভাবে একটু বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু কম থাকে। শীতের আগে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমবে না।

ডেঙ্গু থেকে নিজেকে রক্ষা করতে মানুষকে আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মশা যাতে না কামড় দেয় সেজন্য জনগণকে সচেতন থাকতে হবে। মশার বংশ যেন বৃদ্ধি না পায় সেজন্য নিজের ঘর বাড়ি সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নিজের ঘরের দায়িত্ব নিজেকে পালন করতে হবে। বাইরে প্রশাসন দায়িত্ব পালন করবে। এয়ারপোর্টে যেমন আলাদা প্রশাসন আছে, সিটি কর্পোরেশন আছে, রাজউক আছে, ভূমি মন্ত্রণালয় আছে- এদের সবার সমন্বয় করেই মশক নিধন কার্যক্রম চালাতে হবে। মশক নিধন যদি সঠিকভাবে করতে না পারা যায় তাহলে ডেঙ্গু হতেই থাকবে। মশা যেন না কামড় দেয় সেজন্য আমাদের নিজেদের বেশি সচেতন থাকতে হবে।