ইফতিখার-নেওয়াজকে ফিরিয়ে ম্যাচ মুঠোয় নিলো লংকানরা

জয়ের জন্য দরকার ১৭১ রান। চ্যালেঞ্জিং এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বড় হোঁচট খায় পাকিস্তান। টানা দুই বলে তারা হারিয়ে বসে অধিনায়ক বাবর আজম (৫) আর ফাখর জামানকে (০)।

২২ রানে নেই ২ উইকেট। এমন কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে উদ্ধার করেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ইফতিখার আহমেদ। তৃতীয় উইকেটে এখন পর্যন্ত ৭১ রান যোগ করেন তারা, কিন্তু প্রমোদ মাদুশানা বল হাতে এসেই ভেঙ্গে দেন সেই জুটি। 

রান ও বলের ব্যবধান বাড়ছিল, বাড়ছিল চাপ। প্রথম ২ ওভারে ৯ রান দেওয়া মাদুশান আক্রমণে ফিরলেন, তাঁর স্লোয়ারে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়ে ফিরলেন ইফতিখার। ৩১ বলে ৩২ রান করে আউত হন তিনি।

চামিকা করুনারত্নের শর্ট লেংথের স্লোয়ারে পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন নেওয়াজ। মাদুশান নিয়েছেন ভালো ক্যাচ, ফিল্ডিংয়ে আজ প্রায় নিখুঁত শ্রীলঙ্কা। নেওয়াজকে হারানো পাকিস্তানের চাপ বাড়ল আরও, শ্রীলঙ্কা এগিয়ে গেল আরেকটু।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের স্কোর ১৬ ওভার শেষে ১১০/৪। জয়ের জন্য ২৪ বলে তাদের চাই ৬১ রান।

রান তাড়ায় বেশ দেখেশুনে শুরু করে পাকিস্তান। প্রথম ৩ ওভারে তোলে ২০ রান। কিন্তু তৃতীয় ওভারে এসেই বড় বিপদে পড়ে বাবর আজমের দল।

প্রমথ মধুশান নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে তুলে নেন বাবরকে। ফাইন লেগ বাউন্ডারি দিয়ে বল পাঠাতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে মধুশঙ্কার দুর্দান্ত ক্যাচ হন পাকিস্তান অধিনায়ক।

পরের বলটি উইকেটে টেনে বোল্ড হন ফাখর জামান। ২২ রানেই ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। শুরুর সেই ধাক্কায় পাওয়ার প্লেতে বড় সংগ্রহ পায়নি বাবরের দল। ২ উইকেটে তোলে ৩৭ রান। তবে এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ইফতিখার আহমেদ।

এর আগে ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কঠিন বিপদে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে ভানুকা রাজাপাকসে আর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা।

এই জুটিই দলকে গড়ে দেয় চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের ভিত। হাসারাঙ্গা ৩৬ করে ফিরলেও রাজাপাকসে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। দুই জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন তিনি। রাজাপাকসের ৪৫ বলে ৭১ রানের ইনিংসে ভর করেই ৬ উইকেটে ১৭০ রানের পুঁজি পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের শিরোপা লড়াইয়ে টস জেতেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথমে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানান তিনি।