ইনসাইড টক

‘সংকটে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগকে আগলে রেখেছিলেন’


প্রকাশ: 12/09/2022


Thumbnail

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ছিলেন একজন রাজনৈতিক কিংবদন্তি। তিনি অনেক ১৯৫৬ সন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। আমি ১৯৭১ সালে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে দেখেছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা এবং তারপরে ৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় চার নেতাকে কারাগারের অভ্যন্তরে হত্যার পর যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব সংকটে ছিল সেই নেতৃত্ব সংকটের সময়ও বেগম সাজেদা চৌধুরী অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রতিটি সংকটে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগকে আগলে রেখেছিলেন। তিনি তার জীবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ১৯৫৬ সাল থেকে তার রাজনৈতিক পথ চলা। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি করার ব্যাপারেও তিনি অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।

গতকাল রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। যিনি একজন আওয়ামী লীগের বাতিঘর ছিলেন। আওয়ামী লীগে তার অবদান নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে আলাপচারিতায় জাহাঙ্গীর কবির নানক এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বেগম সাজেদা চৌধুরী রাজনীতিতে আমাদের কাছে এক অনুকরণীয় এবং অনুস্মরণীয় ব্যক্তির নাম। তার সারা রাজনৈতিক জীবনে কোনো ধরনের ছন্দপতন ছিল না। তিনি সাহসিকতার সঙ্গে সকল পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। এমনকি ২০০৭ সনে এক-এগার সময়ে আওয়ামী লীগ যখন নেতৃত্ব শূন্য ছিল এবং নেতৃত্ব সংকটে ভুগেছিল তখন তিনি আওয়ামী লীগকে আগলে রেখেছিলেন। আওয়ামী লীগ যখন আত্মসমর্পণে এবং ভীরুতার মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছিল তখন বেগম সাজেদা চৌধুরী তার পবিত্র দায়িত্ব পালন করেছেন। বেগম সাজেদা চৌধুরী একজন জনপ্রিয় জননেতা। তিনি একজন দুঃসাহসিক এবং সৎ নির্ভীক নেতা ছিলেন। তিনি আমাদের কাছে চিরদিন বেঁচে থাকবেন, আমাদের হৃদয়ে, আমাদের মানসপটে। তার এই মৃত্যুতে দেশ ও জাতি বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হলো।

বেগম সাজেদা চৌধুরীকে তরুণ প্রজন্মের জন্য আদর্শ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, বেগম সাজেদা চৌধুরীর কাছ থেকে তরুণ প্রজন্মের শেখার অনেক কিছু আছে। রাজনীতিতে কমিটমেন্ট নিয়ে কীভাবে থাকতে হয় এবং যেকোনো পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় সেটা তাকে অনুসরণ করে শেখা যাবে। কারণ তিনি একজন সৎ রাজনীতিবিদ ছিলেন । তার কাছ থেকে তরুণ প্রজন্ম সৎ রাজনীতি শিখবে এটাই আমরা আশা করি। দু:সময়ে যারা আওয়ামী লীগের বাতিঘর হিসেবে কাজ করছেন  তাদের এভাবে চলে যাওয়া আওয়ামী লীগের জন্য একটা বিরাট শূন্যতা তৈরি হচ্ছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭