ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচন বানচালই প্রধান লক্ষ্য তাদের


প্রকাশ: 14/09/2022


Thumbnail

নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী আগামী বছরের ডিসেম্বর বা ২০২৪ এর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত যেন না অনুষ্ঠিত হয়, এই নির্বাচন যেন বানচাল হয় সেজন্য একটি মহল তৎপর হয়েছে এবং আগামী নির্বাচন বানচাল করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য বলে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। আর এই নির্বাচন বানচালের যে নীলনকশা সে নীলনকশার অন্যতম পুরোধা হলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও দেশে সুশীল সমাজের একটি অংশ এখন সক্রিয় হয়ে মাঠে নেমেছে। তাদের মূল লক্ষ্য হলো, যে যেকোনো মূল্যের বিনিময়ে আগামী নির্বাচনকে হতে না দেওয়া। আর এ লক্ষ্যে তারা কাজ করছে। এই নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্য তারা বিভিন্ন সেক্টরে সক্রিয় হয়েছে বলে ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে। সুশীল সমাজের এই অংশটি মনে করছে যদি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে একটি নির্বাচন না হয় তাহলে অরাজনৈতিক শক্তি বা তৃতীয় শক্তি ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারবে এবং তখন সুশীলদের সরকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। কিন্তু নির্বাচন যেভাবেই হোক শেষ পর্যন্ত যদি নির্বাচন সম্পন্ন হয় তাহলে এই সুশীলদের কোন কর্তৃত্ব থাকবে না। আর এই কৌশল বাস্তবায়নের জন্য সুশীল সমাজ যে কাজগুলো করছে তার মধ্যে রয়েছে-

১. রাজনৈতিক দলগুলোকে উস্কানি: ইতোমধ্যে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ একাধিক রাজনৈতিক দলকে উস্কে দিয়েছে আমাদের সুশীল সমাজ। এই রাজনৈতিক দলগুলো এখন সুশীল সমাজের পাতানো ফাঁদে পা দিয়েছে এবং তারা এখন বলছে যে, যে কোনো মূল্যে আগামী নির্বাচন তারা প্রতিহত করবে। আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে না। সুশীল সমাজ মনে করছে যে, যদি প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বর্জন করে তাহলে পরে আওয়ামী লীগের একার পক্ষে এই নির্বাচনকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশ্বাসযোগ্য করা কঠিন হয়ে পড়বে। 

২. আন্তর্জাতিক মহলে নানা অপপ্রচার: সুশীল সমাজের দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার করা। বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, বাংলাদেশের মানবাধিকার সংকুচিত, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সুশীল সমাজ লাগাতার আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। এর ফলে  আন্তর্জাতিক মহল বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টি দিয়েছে। ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশ আগামী নির্বাচন যেন জনগণের অংশগ্রহণমূলক হয় সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক মহল যদি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নানা রকম চাপ সৃষ্টি করে এবং সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চায়, আর বিএনপি যদি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় তাহলে আগামী নির্বাচন বানচালের একটা সহজ সম্ভাবনা তৈরি হবে।  

৩. সরকারের সমালোচনা: সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছে সুশীল সমাজ। অর্থনৈতিক সংকট, মানবাধিকারের সংকট, দুর্নীতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যাতে জনগণের মধ্যে একটি বিরাজনীতিকরণের ধারণা তৈরি হয় এবং এই বিরাজনীতিকরণের ধারণা থেকেই জনগণ নির্বাচন বিমুখ হয়ে পড়বে বা তৃতীয় শক্তি বা অনির্বাচিত একটি শক্তি ক্ষমতা দখল করলেও জনগণ তাকে স্বাগত জানাবে। 

আর সর্বশেষ যে কৌশলটি সুশীল সমাজ নিয়েছে তা হল বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার। সরকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নানা রকম প্রচার করা হচ্ছে। ফলে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে একধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। আর এই সমস্ত সম্মিলিত কৌশলের একটিই গন্তব্য তা হলো আগামী নির্বাচন হতে না দেওয়া। এখন দেখার বিষয় সুশীল সমাজের নীলনকশা অনুযায়ী আগামী নির্বাচন বানচাল হবে? নাকি শেষ পর্যন্ত সুশীল সমাজ আরও একবার পরাজিত হবে?


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭