প্রকাশ: 15/09/2022
ইতিহাসের সবচেয়ে
বিধ্বংসী বন্যার পর পাকিস্তানে আসন্ন নতুন এক সংকটের বিষয়ে সতর্ক করছেন দেশটির স্বাস্থ্য
কর্মকর্তারা। বিওন্যা কবলিত কিছু অংশে এখনো উদ্ধার অভিযান ও লোকজনকে সরিয়ে আনার প্রচেষ্টা
চলছে। এরই মধ্যে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও মারাত্মক গ্যাস্ট্রিকসইহ নানা রোগব্যাধীর সংক্রমণের
কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
বিবিসির এক
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ের বন্যায় পাকিস্তানে ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে। গত জুন থেকে শুরু হওয়া এই বন্যায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় দেড় হাজার মানুষের।
অনেকেই বাস্তুচ্যুত
হয়ে জমে থাকা পানির পাশে বসবাস করছে। ইতিমধ্যে ডেঙ্গুর কবলে পড়ে কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছে।
প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
দক্ষিণাঞ্চলীয়
সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৮৩০ জন ডেঙ্গু রোগী
শনাক্তের কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন কমপক্ষে নয়জন।
পাকিস্তান মেডিকেল
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুর বলেন, ‘সিন্ধু প্রদেশের সার্বিক অবস্থা খুবই
খারাপ। আমরা গোটা প্রদেশে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপনের ব্যবস্থা করছি। বেশির ভাগ রোগীই
ডেঙ্গু আক্রান্ত। এর ঠিক পরেই রয়েছে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগী।’
গোটা প্রদেশেই
ডেঙ্গু ভয়াবহ মাত্রায় দেখা দিয়েছে। সন্দেহভাজনদের নমুনা পরীক্ষার পর প্রায় ৮০ শতাংশেরই
ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে।
আসছে সপ্তাহগুলোতে
পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে মনে করছেন করাচির আগা খান হাসপাতালে বহু ডেঙ্গু
রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসা আবদুল গফুর।
বন্যা শুরু
হওয়ার পর দুই মাসের বেশি সময় পার হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানজুড়ে কয়েক হাজার গ্রাম এখনো
পানির নিচে। এতে অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত
হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক সড়ক এখনো ব্যবহার অনুপযোগী। চিকিৎসার জন্য অনেকের ভরসা
ভ্রাম্যমাণ গাড়ি। এই সুযোগ পাচ্ছে খুবই কমসংখ্যক মানুষ।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭