ভারতে ২ বোনকে ধর্ষণ, হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

ভারতের উত্তর প্রদেশের লখিমপুরে দলিত ২ কিশোরীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর সেখানে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় দলিত সম্প্রদায়ের সদস্যরা। 

ভারতীয় গণমাধ্যম দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস এক্ল প্রতিবেদনে বলছে, বুধবার সন্ধ্যায় লখিমপুর খেরি জেলার নিঘাসন থানার সীমানায় দলিত দুই নাবালিকা বোনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একজনের বয়স ১৭ বছর অপরজনের ১৫ বছর।

একটি গাছে তাদের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর স্থানীয় গ্রামবাসী এবং ভুক্তভোগী পরিবার তিন যুবকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ করেছে।

মৃতদেহ উদ্ধারের পর লখিমপুরে বিক্ষোভ করেন গ্রামবাসীরা  এ সময় গ্রাম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে নিঘাসন ক্রসিং অবরোধ করেন তারা।

পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা গ্রামবাসী এবং মৃত দুই বোনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রোনে আনেন।

পুলিশ সুপার সঞ্জীব সুমন গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, দ্রুত মামলাটির সমাধান করা হবে। তিনি গ্রামবাসীদের রাস্তা-অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।

স্থানীয়রা বলেছেন, তমোলিয়াপুরা গ্রামের একটি আখের ক্ষেতে একই ওড়না দিয়ে ওই দুই কিশোরীর লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ছোট বোনের পা মাটিতে লেগে ছিল এবং বড় বোনের লাশ শূন্যে ঝুলছিল।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে দলিত ২ বোনকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এদিকে দুই বোনকে ধর্ষণ ও হত্যার পর মৃতদেহ গাছে ঝুলিয়ে ঘটনার মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তমোলিয়াপুরা গ্রামের ৬ বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, জোড়া খুন, ধর্ষণ ও অপরাধের প্রমাণ মুছে ফেলা চেষ্টা করেছেন স্থানীয় পাঁচ যুবক। তারা হলেন সুহাইল, জুনাইদ, হাফিজুল রেহমান, করিমুদ্দিন ও আরিফ। ছোটু নামের এক প্রতিবেশী ওই দুই কিশোরীর সঙ্গে এ ৫ জনের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। ছোটুকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

লখিমপুর খেরির পুলিশ সুপার সঞ্জীব সুমন বলেছেন, মঙ্গলবার ওই দুই কিশোরীকে একটি আখক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন সুহাইল ও জুনাইদ। আর এই দুজনের অপরাধের আলামত মুছে ফেলতে সহায়তা করেন বাকিরা।

তবে দুই বোন স্বেচ্ছায় সুহাইল ও জুনাইদের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে বেরিয়েছিল বলে পুলিশ জানালেও পরিবার বলছে ভিন্ন কথা। ২ বোনের পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, তাদের মেয়েদেরকে অপহরণ করা হয়েছিল।