টমেটো ফ্লু, অতি সাধারণ নিরিহ নাম হলেও ভাইরাসটি ততটা নিরিহ নয়। ভয়ংকর এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতে।
এখন অব্ধি ভারতের বাইরে এই রোগে আক্রান্ত রোগী না পাওয়া গেলেও,প্রতিবেশি দেশ হিসেবে আমাদের রয়েছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। তাই আমাদের থাকতে হবে সাবধান এবং রাখতে হবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
টমেটো ফ্লু একটি কক্সাকি এ১৬ ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের প্রথমে সাধারণত জ্বর- সর্দির মত উপসর্গ দেখা দেয় বা কখনো কখনো রোগী অবসাদগ্রস্ততা, গায়ে ব্যথা ইত্যাদি অনুভব করে।
অনেকক্ষেত্রে রোগীর মাত্রাতিরিক্ত বমি বমি ভাব এবং গিরায়-গিরায় ব্যথা অনুভব করে। এই রোগের আরেকটি বড় উপসর্গ হল মাক্সিপক্সের মতই রোগীর শরীরে লাল ফোসকা দেখা দেয়। এই ফোসকাগুলো টমেটোর আকারে শরীরে দেখা দেয় বলে এর নাম টমেটো ফ্লু।
ভারতে এই রোগে আক্রান্ত রোগী বিশ্লেষন করলে দেখা যায় এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে শিশুরাই। তবে হ্যা, বয়স্ক যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের শরীরে পরীক্ষা করে দেখা গেছে তারা প্রত্যেকেরই ইমিউন সাপ্রেশন ছিল।
টমেটো ফ্লু অত্যন্ত সংক্রামক। এই রোগ প্রতিরোধ করতে হলে এবং বিস্তার ঠেকাতে হলে অবশ্যই রোগীকে আলাদা রাখতে হবে। মূলত রোগের লক্ষন গুলো দেখা দিলেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।এছাড়া রোগীর ব্যবহার্য জিনিসপত্র যেমন কাপড়চোপড়, থালাবাসন, খেলনা আলাদা করতে হবে।
বলা হয়ে থাকে টমেটো ফ্লু একটি স্ব-সীমাবদ্ধ রোগ। ফলে এই রোগের কোন সুনির্দিষ্ট ওষুধ নেই। তাই জ্বরের লক্ষন দেখা দিলে রোগীকে বিশ্রাম, প্রচুর তরল খাবার এবং জ্বালা ও ফুসকুড়ি উপশমের জন্য গরম পানির স্পঞ্জ দিতে হবে। অপরদিকে জ্বর ও শরীর ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল অথবা সহায়ক থেরাপি রোগীকে দেয়া যাবে।