ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মৃত্যুর দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 24/01/2018


Thumbnail

২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি। ওই দিন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু হয়। তবে তাঁর মৃত্যু ছাপিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে শুরু হয় এক কলুষিত অধ্যায়। কোকোর মৃত্যু পরবর্তী কিছু ঘটনার মাধ্যমেই দেশে রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মৃত্যু ঘটে।

আরাফাত রহমান কোকো মারা যান সিঙ্গাপুরে। পরে তাঁর মরদেহ দেশে আনা হয়। বিএনপিসহ এর অঙ্গসংগঠগুলোর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। বেগম জিয়ার ছেলের মৃত্যুতে শোকাহত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। কোকোর মৃতদেহ দেশে আনার পর সেদিন সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা উপস্থিত হন বেগম জিয়ার বাসভবনে। রাজনৈতিক বিরোধ দূরে ঠেলে বেগম জিয়ার শোকে সমবেদনা জানানোই ছিল শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে। কিন্তু সেদিন প্রধানমন্ত্রীর এই মানবিকতাবোধের প্রতি চরম দৃষ্টতা প্রদর্শন করে বিএনপি ও তাঁর চেয়ারপারসন। একজন দায়িত্বে থাকা প্রধানমন্ত্রীকে বেগম জিয়ার বাড়ির সামনে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘক্ষণ। বেগম জিয়ার বাড়ির মূল ফটক বন্ধ রেখে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। প্রধানমন্ত্রী হেঁটে গিয়ে ফকটের সামনেও দাঁড়িয়ে ছিলেন কিছুক্ষণ, কিন্তু কেউ দরজা খুলেনি। বিফল মনোরথেই প্রধানমন্ত্রী সেদিন ফিরে গিয়েছিলেন।

সেদিন দেশবাসী দেখেছিল বিএনপির চরম দৃষ্টতা। মানবিকতাবোধ হীন কিছু মানুষের পরিচয় পেয়েছিল জনগণ। দেশবাসী আরও দেখেছিল দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল দাবিকারীদের রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূতি আচার।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর মনে ওই ঘটনা নিশ্চিয়ই গভীর দাগ কেটেছিল। কারণ এর পর বিভিন্ন সময়ই প্রধানমন্ত্রী ওই ঘটনার কথা স্মরণ করে অপমানিত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

তাঁদের মতে, সেদিনের ওই ঘটনা যদি না ঘটতো তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতি হয়তো অন্যরকমও হতে পরতো। হয়তো বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ও দুই দলের চরম বিরুদ্ধ অবস্থান কিছুটা হলেও কমতে পারত।


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭