প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছে নোয়াখালীর তরুণী জান্নাতুল ফেরদৌস

লক্ষ্মীপুরের ছেলে রাসেল হোসেনের সঙ্গে নোয়াখালীর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের প্রেম, অবশেষে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু রাসেলের বাবা একজন ফল ব্যবসায়ী হওয়ায় এ বিয়ে মানতে নারাজ জান্নাতের চাকরিজীবী বাবা। মেয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নবদম্পতিকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে মেয়ে ও ছেলেকে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

ছেলে রাসেলের বাবা তোফায়েল আহম্মদ লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের ঝুমুর এলাকার ফল ব্যবসায়ী ও দক্ষিণ মজুপুর এলাকার বাসিন্দা। মেয়ের জান্নাতুল ফেরদৌসের বাবা জাকির হোসেন লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের লাইনম্যান ও নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাদ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।

পরিবারের স্বজনরা জানায়, প্রায় ৬ বছর ধরে সকলের অজান্তে রাসেল ও ফেরদৌসের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। পরে তারা লক্ষ্মীপুর জেলা আদালতে গত ৪ সেপ্টেম্বর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর তারা চট্টগ্রামে পালিয়ে যান। পরে একটি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির কাজও নেন রাসেল।

এদিকে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে মেয়ের বাবা জাকির সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভাড়া বাসা থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশ।

বর রাসেল হোসেন বলেন, প্রেম করে বিয়ে করেছেন তারা। একজন অন্যকে ছাড়া বাঁচবেন না। তার বাবা ফল ব্যবসায়ী হওয়ায় জান্নাতের বাবা তাদের বিয়ে মেনে নিচ্ছেন না। তারা একসঙ্গে থেকে সংসার করতে চান বলেও জানান তিনি।

জান্নাতুল ফেরদৌসের বাবা জাকির হোসেন বলেন, আমার মেয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। ছেলের বাবা ফল ব্যবসায়ী উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি সরকারি চাকরি করেন। কোনোভাবেই তাদের সঙ্গে সমন্বয় হয় না। তার সঙ্গে মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছে, ঘটনাটি লজ্জার। এটি মেনে নেওয়ার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন বলেন, পুলিশের সহযোগিতায় রাসেল ও ফেরদৌসকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত তাদেরকে পরিবারের জিম্মায় রাখা হয়েছে বলে জানালেন এই জনপ্রতিনিধি।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাউছারুজ্জামান বলেন, ছেলে-মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক। তারা আইন মেনে বিয়ে করেছেন। মেয়ের বাবার নিখোঁজ ডায়েরির ভিত্তিতে আমরা তাকে উদ্ধার করেছি। দুইজনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।