ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

দুর্নীতি ও দখল বাণিজ্য: এক এমপির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক


প্রকাশ: 19/09/2022


Thumbnail

৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি এবং ভূমি দখলের অভিযোগে একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান শুরু করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এমপির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকার প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। অনুসন্ধানের প্রতিবেদন পাবার পর এ সম্পর্কে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে। ওই এমপি হলেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের নাইমুর রহমান দুর্জয়। দুর্নীতি দমন কমিশনে যে সমস্ত অভিযোগ এসেছে সে সমস্ত অভিযোগে বলা হয়েছে যে, নানা জায়গায় অবৈধ দখল এবং চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ।

এই এমপি নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে কমিশনে অভিযোগ আছে। এছাড়াও মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে, আরিচা ঘাটের কাছে নদীর ভাঙন ঠেকানোর নাম করে সরকারি টাকায় বিআইডব্লিউটিএ'র ড্রেজার দিয়ে যমুনা নদীর বালু উত্তোলন করেছেন তিনি। আর সেই বালু পরিত্যক্ত এলাকায় ইট-ভাটায় মজুত করে বিক্রি করেছেন। এসব দুর্নীতির কারণে এখন আরিচা ঘাট ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগ গুলোতে বলা হয়েছে যে, নিকট আত্মীয়দের দিয়ে তার নির্বাচনী এলাকায় জমি দখল করেছেন এবং জমি দখলে একটি সক্রিয় চক্র গড়ে উঠেছে ওই আত্মীয়ের নেতৃত্বে। তার একজন নিকট আত্মীয় তায়েবুর রহমান টিপুর নির্দেশে এই চক্রটি পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে এবং টিপু ছাড়া শিবালয় এলাকায় কোনো জমি কেউ কেনা-বেচা করতে পারে না বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এছাড়াও, এই এলাকায় কেউ জমি কিনতে গেলে প্রতি শতাংশ জমির উপর চাঁদা দাবি করা হয় এবং এই চাঁদা না দিলে জমি বিক্রিতে বাধা দেয়া হয়।

আলোচ্য এমপির বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জে শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলায় ঠিকাদারদের কাছ থেকেও উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। একাধিক ঠিকাদার দুর্নীতি দমনে অভিযোগ করেছে যে, তাদের কাছে অবৈধভাবে টাকা চাওয়া হয়েছিলো। শুধু যে এমপি একাই অনিয়ম করেছেন এমনটি নয়, দুর্জয়ের স্ত্রীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে অবৈধ সম্পদ গড়ার। দুর্জয়ের স্ত্রীর বিরুদ্ধেও ভূমি অফিসে আধিপত্য বিস্তার এবং এলাকায় শতাধিক বিঘা খাসজমি দখলে অভিযোগ রয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সূত্র বলছে যে, এমপি হওয়ার পর আট বছরে তার আট গুণ আয় বেড়েছে। অথচ হলফনামায় স্ত্রী ফারহানা রহমান হ্যাপির নামে কোনো আয়ের উৎস দেখানো হয়নি। এটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিমূলক অপরাধ বলেও জানা গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগে বলা হয়েছে যে, মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপি মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন যে, দুর্নীতি দমন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী এই অভিযোগগুলো অনুসন্ধান হচ্ছে। অনুসন্ধানের পর যদি এই অভিযোগ সম্বন্ধে সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষ এই নিয়ে তদন্ত হবে এবং তদন্তের পরপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭