ইনসাইড বাংলাদেশ

নাইক্ষ্যংছড়িতে এসএসসি পরিক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা


প্রকাশ: 20/09/2022


Thumbnail

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে রাখাইন রাজ্যের পাহাড়ে ৪ দিন গোলাগুলির বন্ধ থাকার পরে ফের শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে থেমে গোলাগুলি শুরু হয়। এদিন সকালে মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি মর্টার শেল  বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনারপাড়া এলাকার সীমান্তে পড়ে। ফলে গ্রামবাসির আতঙ্কের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক বিরাজ করছে এসএসসি পরিক্ষার্থীদের মধ্যে।

সীমান্তের এমন উত্তেজনাকর গোলাগুলি ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে গত শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্র পরিবর্তন করে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ে সরিয়ে আনা হয়।

গোলাগুলির আতঙ্ক নিয়ে সোমবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত কেন্দ্রে দ্বিতীয় দিনের মতো এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত ইংরেজি প্রথম পত্র বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৪১৬ জন পরীক্ষার্থী।

এ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে গতকাল (১৯ সেপ্টেম্বর) সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে যান বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন ও পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন পরিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা যেনো মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে। মনোবল শক্ত রেখে সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিতে হবে। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে বলে পরিক্ষার্থীদের বলেন তিনি।

সীমান্তে গোলাগুলি থেমে নেই। কিন্তু কারা গোলাগুলি করছে, সেখানে গিয়ে সে তথ্য সংগ্রহের সুযোগ নেই। সীমান্ত এলাকায় কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) সোহাগ রানা।

উখিয়ার রাজাপালং ইউপির সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কুতুপালং এলাকার বিপরীতে কচুবনিয়া সরকারি প্রাথমিক ও বড়বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। সেখানে ঘুমধুম সীমান্ত থেকে ৩০০ পরিবার সরিয়ে আনা হচ্ছে। এরপর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন করেন।

ঘুমধুম সীমান্তের পাশে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৭০-৮০টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি চলছে বলে আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়।

উল্লেখ্য, মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি মর্টার শেল শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনারপাড়া এলাকার সীমান্তে পড়ে। সেটির বিস্ফোরণ ঘটে একজন নিহত ও ছয়জন আহত হন।এর পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে থেমে থেমে গোলাগুলি হয়েই যাচ্ছে। এ অবস্থায় সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক আরও বেড়েই চলেছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭