ইনসাইড টক

‘মিয়ানমার ইচ্ছে করে সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে’


প্রকাশ: 20/09/2022


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, সীমান্ত পরিস্থিতির জন্য মিয়ানমার স্বাভাবিকভাবেই এখন বাংলাদেশের ওপর দোষ চাপাবে। তারা বলছে সীমান্ত পরিস্থিতির জন্য আরাকান আর্মি ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) জড়িত। একইসঙ্গে বাংলাদেশের ভেতরে আরাকান আর্মি ও আরসার ঘাঁটি রয়েছে বলে যে অভিযোগ করেছে সেটা তারা প্রমাণ করুক। প্রমাণ ছাড়া অভিযোগ করলে তো হবে না। দরকার হলে জাতিসংঘের টিম বসানো হোক। কিন্তু তারা তো জাতিসংঘকে ঢুকতে দিচ্ছে না। তাদের অভিযোগের সপক্ষে যদি প্রমাণ থাকে তাহলে আরাকানে জাতিসংঘের টিমকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হোক। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও এই আহ্বান জানিয়েছেন, তারা জাতিসংঘের টিমকে আরাকানে কাজ করতে সুযোগ দিক। 

গতকাল সোমবার ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনজুরুল করিম খান চৌধুরীকে  ডেকে নিয়ে সীমান্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা দিয়েছে মিয়ানমার। ব্যাখ্যায় দেশটি জানিয়েছে যে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে গোলা নিক্ষেপসহ সীমান্তের সাম্প্রতিক ঘটনায় আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনী আরসা দায়ী। একইসঙ্গে বাংলাদেশের ভেতরে আরাকান আর্মি ও আরসার ঘাঁটি রয়েছে বলে অভিযোগ করে সেগুলোর তদন্ত করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে বারবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিক্ষিপ্ত মর্টার শেলের গোলাগুলির ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মহলে নিয়ে যাওয়া দরকার। মিয়ানমার দাবি করছে যে, বাংলাদেশের ভেতরে আরাকান আর্মি ও আরসার ঘাঁটি রয়েছে। যদি থেকেই থাকে তাহলে মিয়ানমারের কোনো বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে জাতিসংঘকে কাজ করতে দেয়া সুযোগ করে দিক। মিয়ানমারের এ ধরনের অভিযোগ থেকে বুঝা যায় যে, তারা তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। যদি ব্যর্থ হয়ে থাকে তাহলে জাতিসংঘের কাছে সাহায্য নিতে পারে। কারণ জাতিসংঘের একাধিক শান্তিরক্ষার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু তারা সেটা করছে না। বরং ইচ্ছে করে সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, মিয়ানমার ইচ্ছাকৃতভাবে চায় বাংলাদেশ তাদের সাথে যুদ্ধ করুক। কিন্তু বাংলাদেশ যে ধৈর্য্যের পথ বেছে নিয়েছে সেটা উত্তম। এখনকার পরিস্থিতে আর কোনো বিকল্প পথ নেই। কোনোভাবেই তাদের সাথে যুদ্ধ জড়ানো বাংলাদেশের জন্য উচিত হবে না। যুদ্ধ জড়ালে মিয়ানমার ‍উপকৃত হবে। কারণ যুদ্ধ হলে মিয়ানমার বলার সুযোগ পাবে যে, রোহিঙ্গারা তাদের নয়, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন যে ধৈয্য ধরে আছে সেটা দেশের জন্য লাভ। আমাদের উচিত হবে আন্তর্জাতিক মহলে কূটনীতিক তৎপরতা আরও বাড়ানো দরকার।  


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭