প্রকাশ: 20/09/2022
পাকিস্তানে
বন্যার পানি নামতে শুরু করার পর পানিবাহিত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন হাজার
হাজার মানুষ।
এসব রোগে ভুগে
আরও অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে এ ধরনের রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ৩১৮-তে দাঁড়িয়েছে
বোলর জানিয়েছে দেশটির সরকার।
আজ সোমবার দেশটির
দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থা জানিয়েছে, বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের
মধ্যে ৫৫১ শিশু ও ৩১৮ জন নারী রয়েছেন। এই সংখ্যার সঙ্গে বন্যাবাহিত রোগে মৃতদের যুক্ত
করা হয়নি।
কর্মকর্তারা
জানিয়েছেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যার পানি নামতে দুই থেকে ছয় মাসের মতো লেগে যেতে
পারে।
পানি নামতে
শুরু করার পর বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে এবং প্রধানত সিন্ধু প্রদেশে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু
জ্বর, ডায়রিয়া ও চর্ম রোগের প্রকোপ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত
এক প্রতিবেদনে সিন্ধুর প্রাদেশিক সরকার জানিয়েছে, পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহ, তীব্র
ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগে সোমবার নয় জন মারা গেছে।
১ জুলাই থেকে
বিভিন্ন রোগে ভুগে এ পর্যন্ত মোট ৩১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
প্রতিবেদনটিতে
বলা হয়েছে, বন্যা কবলিত অঞ্চলগুলোতে স্থাপিত অস্থায়ী ও মোবাইল হাসপাতালগুলোতে সোমবার
পর্যন্ত ৭২ হাজারেরও বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
১ জুলাই থেকে
এসব হাসপাতালে ২৭ লাখেরও বেশি লোককে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বর্ষাকালে রেকর্ড
বৃষ্টি এবং উত্তরাঞ্চলের পর্বতগুলোর হিমবাহ গলে পাকিস্তানজুড়ে দেখা দেওয়া বন্যায় প্রায়
৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ দুর্যোগ কবলিত হয়। বন্যার পানির তোড়ে ঘরবাড়ি, ফসল, সেতু, রাস্তা
ও গবাদিপশু ভেসে গিয়ে ৩০ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে হিসাব করা হয়েছে।
বন্যায় বাস্তুচ্যুত
লাখ লাখ মানুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। বদ্ধ জলাশয়ের পানি পানে বাধ্য
হওয়ায় তাদের মধ্যে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। তদের জরুরিভিত্তিতে খাবার, পরিষ্কার
পানি, আশ্রয়, পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা ও ওষুধ দরকার বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭