প্রকাশ: 21/09/2022
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে উল্লেখ করে ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর তারেক জিয়ার উপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ওয়েবসাইট উইকিলিকস বার্তাটি প্রকাশ করেছিল।
সেই বার্তায় রাজনৈতিকভাবে সংঘটিত ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতির জন্য তারেক রহমানকে দায়ী করা হয়। ‘তার দুর্নীতির কারণে মার্কিন ঘোষণাপত্রে বর্ণিত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের স্থিতিশীলতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তার লক্ষ্য বিনষ্ট হওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে’, বলে জানায় মার্কিন দূতাবাস।
মূলত তিনটি কারণে তারেক জিয়া যুক্তরাষ্ট্রে অবাঞ্ছিত:
১। দুর্নীতি: মার্কিন দূতাবাস তাদের বার্তায় বলেছে, 'তারেকের দুর্নীতি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করেছে। বার্তায় বলা হয়, তার
ব্যতিক্রমী কর্মকান্ডে সরকার এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের
স্থিতিশীলতার প্রতি জনগণের ভরসা কমে গেছে।
আইন লঙ্ঘনে তারেক যে দৃষ্টান্ত তৈরি
করেছেন, তা আইন সংশোধন,
সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও বিচার বিভাগের
স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা লক্ষ্য অর্জন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশে
ঘুষ, অর্থ আত্মসাৎ ও
দুর্নীতির সংস্কৃতি গড়ে তোলা ও
বজায় রাখার ক্ষেত্রে তারেক যা করেছেন, তাতে
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অনেক সুযোগ হাতছাড়া
হয়েছে। তিনি মিলিয়ন ডলার
জনগণের অর্থ চুরি করায়
মুসলিমপ্রধান এই উদারপন্থি দেশে
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘি্নত হয়েছে এবং একটি স্থিতিশীল
গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ ব্যাহত হয়েছে।
তারেক জিয়ার লাগামহীন দুর্নীতি তার যুক্তরাষ্ট্রে অবাঞ্ছিত হবার অন্যতম প্রধান কারণ।
২। চাঁদাবাজি: চাঁদাবাজিতে শুধু দেশে নয়
বিদেশেও ব্যাপক বিখ্যাত তারেক জিয়া। মার্কিন দূতাবাসের বার্তায় বলা হয়, একটি
মামলায় তারেক আল আমিন কনস্ট্রাকশনের
মালিক আমিন আহমেদকে হুমকি
দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা
হয়েছে। দেড় লাখ ডলার
না দিলে তার প্রতিষ্ঠান
বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি
দেওয়া হয়েছে। রেজা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের
মোহাম্মদ আফতাব উদ্দীন খান, মীর আখতার
হোসেন লিমিটেডের মীর জহির হোসেন
ও হারুন ফেরদৌসীসহ অন্য অনেক স্থানীয়
ব্যবসায়ী তার বিরুদ্ধে কয়েক
মিলিয়ন ডলারের চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক)
তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের
অভিযোগ এনেছে এবং জাতীয় রাজস্ব
বোর্ড কর ফাঁকির মামলা
করেছে।
মার্কিন দূতাবাস বলেছে, তারেকের দুর্নীতি শুধু স্থানীয় কোম্পানির কাছে চাঁদাবাজির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। দুদকের অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অনেক ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যাদের মধ্যে রয়েছে সিমেন্স, হার্বিন কোম্পানি, মোনেম কনস্ট্রাকশনসহ আরো অনেকেই।
৩। জঙ্গি সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততাঃ মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা একাধিক দেশ তারেক জিয়ার
সাথে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের অনেকগুলো সূত্র পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই তদন্ত অনুযায়ী তারেক জিয়া বাংলাদেশী এবং আন্তর্জাতিক অন্তত
৩টি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে ধারণা করছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে হরকাতুল জিহাদ,
হিযবুত তাহরী এবং জেএমবির মতো
৩টি সংগঠনের সঙ্গে তারেক জিয়ার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ যোগাযোগ রয়েছে বলে বিভিন্ন মার্কিন
সূত্র দাবি করছে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭