ইনসাইড বাংলাদেশ

ড. ইউনূসের অ্যাকাউন্টের ১৭’শ কোটি টাকা কোথায় গেল?


প্রকাশ: 21/09/2022


Thumbnail

গ্রামীণ টেলিকমের লভ্যাংশের টাকা ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে। টাকার পরিমাণ এক হাজার সাতশত কোটি টাকা। পাঁচটি চেকের মাধ্যমে এই টাকা গ্রামীণ টেলিকম থেকে ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকমের আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টেলিকমের টাকা থাকতে পারে না। শুধু গ্রামীণ টেলিকম না, কোনো প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে থেকে প্রতিষ্ঠান মালিক বা কারো ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর আইন বিরুদ্ধ এবং এর জন্য বোর্ডের অনুমতি লাগে। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ডসভায় এরকম কোনো অনুমোদন পত্র পাওয়া যায়নি। বরং এক হাজার সাতশত কোটি টাকা বিভিন্ন মেয়াদে ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে হস্তান্তর করা হয়েছে একরকম গোপনীয়তা রক্ষা করে এবং গ্রামীণ টেলিকমের অডিটেও এটিকে ধামাচাপা দাওয়া হয়েছে। তিন হাজার কোটি টাকা পাচার সংক্রান্ত গ্রামীণ টেলিকমের ব্যাপারে তথ্য অনুসন্ধানে এই তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলা ইনসাইডার অনুসন্ধানে দেখা গেছে এই সতের শত কোটি টাকা ড. ইউনূস তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে বিদেশে স্থানান্তর করেছেন। তবে কোথায় কীভাবে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে এ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত তদন্ত চলছে। তবে এই সতেরশত কোটি টাকা থেকে ৩৭৫ কোটি টাকা ড. ইউনূস তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে থেকে ইউনূস ফাউন্ডেশনে স্থানান্তর করেন। ইউনূস ফাউন্ডেশন এই টাকা বিদেশে পাটিয়ে সভা-সমাবেশ ইত্যাদির নামে করেছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে। 

সংশ্লিষ্ট তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, এই পুরো সতেরশত কোটি টাকাই ড. ইউনূস বিদেশে পাচার করেছেন এবং এই  টাকাগুলো কোথায় পাচার করেছে- এই হদিস করলে অর্থপাচারে বাংলাদেশের ব্যাপারে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাবে। সাম্প্রতিক সময়ে গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের প্রতারণা করার অভিযোগে শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। এই মামলা ঠেকাতে তিনি আইনজীবীকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দান এবং একটি সমঝোতায় আসেন। কিন্তু পরে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় যে, এ ধরনের সমঝোতা আইন বিরুদ্ধ, মামলা চলবে। হাইকোর্টের এই আদেশে ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে গেলেও ড. ইউনূস রক্ষা পাননি। বরং আপিল বিভাগ মামলা চলার পক্ষে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ফলশ্রুতিতে ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে মামলাটি চলমান। এই মামলার সমঝোতার প্রক্রিয়া মধ্যে পাওয়া যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট বা ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো গ্রামীণ টেলিকমের টাকা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই পাচারকৃত অর্থের ব্যাপারে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুর্নীতি দমন কমিশনের এই তদন্তের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে এবং এই সমস্ত তদন্তে দেখা গেছে তিন হাজার কোটি টাকার পাশাপাশি ড. ইউনূস গ্রামীণ টেলিকমের লভ্যাংশের যেটি তিনি গ্রামীণফোন থেকে টেলিকম পেত (উল্লেখ্য গ্রামীণফোনের ৩৪ শতাংশ মেয়ারের মালিক হলো গ্রামীণ টেলিকম) এই লভ্যাংশের টাকা গ্রামীণ টেলিকম থেকে যথেচ্ছভাবে খরচ করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং এই খরচগুলো হয়েছে তার ব্যক্তিগত প্রচারণা, তার ইমেজ বৃদ্ধিসহ নানা অপ্রয়োজনীয় খাতে। তবে এই সমস্ত খরচের পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে  স্থানান্তরিত এক হাজার সাতশত কোটি টাকার কোনো হদিসই পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, এই টাকাটি পাচার হয়েছে। এটি যদি শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হয় তাহলে অর্থ পাচারের দায়ে পিকে হালদারদের মতো ইউনূসকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭