ইনসাইড ইকোনমি

সবজির দর বাড়ছে কেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 26/01/2018


Thumbnail

বিগত বছরের এপ্রিল মাস থেকে বেড়েই চলছে সবজিসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। যা এখনো বিদ্যমান। বিশেষ করে চাল ও পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় নাভিশ্বাস উঠে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানিতে শুল্কের পরিমাণ কমিয়ে আনে সরকার। শেষ পর্যন্ত চালের বাজার কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে আসলেও সবজিরবাজারে এখনো স্বস্তি ফেরেনি। 

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছর এই সময় বাজারে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা যা; এখন পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়; খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এই দাম বৃদ্ধির কারণ একটাই সেটা হলো উৎপাদন কম। আর উৎপান কম হওয়ার পেছনে প্রধান অন্তরায় হচ্ছে প্রকৃতির আঘাত । অরিক্ত বৃষ্টির কারণে গত বছর হাওড় এলাকায় বন্যার পানিতে ভেসে যায় কয়েকশ একর ধানের জমি। যার প্রভাব সারা বছর জুড়েই পড়তে থাকে চালের বাজারে। সবজির ক্ষেত্রে একই অবস্থা।

সবজি ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, এবছর অতিবৃষ্টির কারণে কৃষকরা বারবার ফসল ঘরে তুলতে পারেনি। যার কারণে শীতের এই ভরা মৌশুমে দাম সহনীয় পর্যায়ে আসেনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন কাচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন মৌশুম অনুযায়ী এখনও সবজির দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।

সবজির দর-দাম কেমন জানতে চাইলে তেজগাঁও থেকে বাজার করতে আসা লুৎফর রহমান বলেন, সবজির দাম অন্যান্য বারের চেয়ে এবার একটু বেশি।

তিনি বলেন, সবজির দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে সরকার অথবা ব্যবসায়ীদের তেমন কোনো হাত নেই। এ জন্য দায়ী আমরা সবাই। কারণ প্রতিদিন আমরা প্রকৃতিকে ধ্বংস করছি। যেহেতু প্রকৃতিকে আমরা আঘাত করছি। প্রকৃতিও আমাদের উপর পাল্টা আঘাত করছে। লুতফর রহামানের সঙ্গে এক মত পোষণ করছেন অন্যান্য সবজি ব্যবসায়ী ও ক্রেতাসারণ।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন সবজিতে ভরপুর কিন্তু দাম আকাশচুম্বী। শুধু মূলা আর পেঁপে বাদে সব ধরনের সবজি ৫০ টাকা উপরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আলু বিক্রি হয়েছে ২০-২৫টাকা কেজি দরে। ঢেঁরস ৫০, বেগুন ৪০, ঝিঙ্গা ৫০, চিচিঙ্গা ৫০, বরবটি ৫০, ফুলকপি প্রতি পিস ৩০, বাঁধা কপি ৩০, শসা ৪০-৫০, টমেটো ৫০, পেঁপে ১৫-২০, কচুর মুখী ৩৫-৪০, ধনেপাতা ১৬০, রসুনআমদানি করা ও দেশি দুটোই বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি এবং আদা বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি দরে।

বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। আধা কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০০ টাকায়। প্রতি কেজি কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০, তেলাপিয়া ১২০-১৪০, রকমভেদে চিংড়ি ৬৫০-হাজার, ট্যাংরা৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খাসির মাংসের দাম। শীতকালে বিবাহ ও অন্যান্যা সামাজিক অনুষ্ঠান বেশি হওয়ায় প্রভাব পড়েছে বাজারে। প্রতি কেজি খাসির মাংস ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা কিছুদিনআগে বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকায়। খাসির মাংসের দাম বাড়লেও গরুর মাংস আগের দামেই আছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৩০-৪৫০ টাকায় বেচাবিক্রি চলছে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএস/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭