ফ্লোরিডায় হারিকেনের কবলে হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি

বিপর্যয়কর শক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলে আঘাত হেনেছে হারিকেন ‘ইয়ান’। ভয়াবহ এই হারিকেনে বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ।

ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও রয়েছেন। অনেকেরই গাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান  ইতোমধ্যে পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন্স ইন নর্থ আমেরিকার (ফোবানা) চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান জানান, ‘’ফোর্ট মায়ার্স ও সেন্ট পিটারসবার্গসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের প্রবাসীরা গত ১২ ঘণ্টা যাবৎ হারিকেনের তাণ্ডবে কষ্টে রয়েছেন।‘’

বিদ্যু সংযোগ বিচ্ছিন হয়ে পড়ায় কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে উল্লেখ করে আতিকুর রহমান বলেন, ‘’পানি সরে না যাওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা সম্ভব হবে না। তবে স্থানীয় প্রশাসন, দমকল বাহিনী ও বিদ্যুতকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছেন।‘’

ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের নেতা অ্যাডভোকেট জহির জানান, ‘’আমাদের সহকর্মী আশরাফের হোটেলের প্রথম তলা পানিতে সয়লাব। পার্কিং লটে ৫০ থেকে ৬০টি গাড়ি পানিতে ভাসছে। এমন পরিস্থিতি আর কখনোই ঘটেনি। হারিকেনের তাণ্ডব চলেছে অনেকক্ষণ। ফলে সকলেই ভয়ংকর একটি পরিস্থিতির মধ্যে ছিলেন বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত।‘’

এদিকে, ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর রন ডেসান্টিস বড় ধরনের দুর্যোগ ঘোষণা অনুমোদনের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার হারিকেন ইয়ান ফ্লোরিডা উপকূলের কাছে চলে আসার পর একটি নৌকা ডুবে ২০ কিউবান অভিবাসন প্রত্যাশী নিখোঁজ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির কারণে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না, এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো দাপ্তরিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

গভর্নর ডেসান্টিস জানিয়েছেন, ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ এলাকাগুলোতে অজ্ঞাত সংখ্যক লোক আটকা পড়েছে। তাদের সাহায্য প্রয়োজন। তাদের উঁচু এলাকায় চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরও তারা এলাকা ছাড়েননি। আর উদ্ধারকর্মীরাও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।

ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার বিকাল ৩টা ৫ মিনিটে ইয়ান সাগর থেকে ফ্লোরিডার কায়ো কোস্টা উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে আসে। এর আগে মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়টি কিউবায় তাণ্ডব চালায়। এতে কিউবার বেশিরভাগ অঞ্চল কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুতবিহীন হয়ে পড়েছিল।