ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও গ্যাস সংকটের কারণে সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন দেশে ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ ডলার (৩ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার) পণ্য রপ্তানি করেছেন উদ্যোক্তারা। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কম। আর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ কম। সেপ্টেম্বরে পণ্য রপ্তানি থেকে ৪ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের।
রোববার (২ অক্টোবর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত তথ্য বিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অবশ্য সার্বিকভাবে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের রপ্তানি ইতিবাচক ধারাতেই আছে। অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে। এ সময়ে ১ হাজার ২৪৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের প্রথম তিন মাসে রপ্তানি হয়েছিল ১ হাজার ১০২ কোটি ডলারের পণ্য।
উদ্যোক্তারা বলছেন, রপ্তানি আয় কমবে, এটা আগে থেকে অনুমেয় ছিল। সামনের মাসেও রপ্তানি কমার এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। তারা পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছে। সে কারণেই রপ্তানি আয় কমছে। সহসাই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে না বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর পোশাক রপ্তানিতে ১৩ দশমিক ৩৮ শতাংশের বেশি, পাট ও পাটজাত দ্রব্যে ১৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে ৫৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ ও চামড়াজাত পণ্যে ২০ দশমিক ৮৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কম আয় হয়েছে একাধিক পণ্যে। কৃষিপণ্যে ১৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ, কেমিক্যাল পণ্যে ২৩ দশমিক ২৮ শতাংশ ও কাচঁজাত পণ্যে ৫২ দশমিক ৭৯ শতাংশ কম আয় হয়েছে।