নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের এক বৃদ্ধা মহিলাকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে।
টাকা নেওয়া সত্ত্বেও আজও ঘর পাননি ওই বৃদ্ধা। আর ৬ সন্তান থাকলেও তিনি রাস্তার পাশের ঝুপড়িতে ঘরে বসবাস করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই ইউনিয়নের পশ্চিম বামন ডাঙ্গা দোলাপাড়া ডিবের পারের বাসিন্দা মৃত নাসির উদ্দিনের স্ত্রী আছিয়া খাতুন (৭০) তিনি রাস্তার পাশে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন। আর মানুষের বাড়ীতে সাহায্যে নিয়ে জোটে তার পেটের খাবার। তার তিন ছেলে ও তিন মেয়ে থাকলেও কেউ তার দেখাশুনা করেন না। ফলে অসহায় হয়ে রাস্তার ধারে অন্যের জমিতে একটি ঝুপড়ি ঘরে থাকেন তিনি।
বৃদ্ধার বড় মেয়ে খালেদা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমরা ছয় ভাই বোন তবে আমরাও গরীব কিভাবে মাকে দেখি, তবুও আমি যতটুকু পারি মায়ের খোঁজ খবর নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা ফজলু ইসলাম বলেন, 'বৃদ্ধা আছিয়া বেগমের ছয় ছেলে মেয়ে থাকলেও কেউ তাকে দেখেন না। তিনি রাস্তার পাশে ঝুপড়ি ঘরে থাকেন।আর মানুষের বাড়ীতে হাত পেতে যা পান তা দিয়ে পেটের ক্ষুধা নিবারণ করেন। কিন্তু বাবুল মেম্বার প্রধানমন্ত্রীর ঘর দিবে বলে যে টাকা নিয়েছে, তিনি এ কাজটি ঠিক করেন নি। টাকা নিক কিন্তু তিনি তাকে (আছিয়া বেগমকে) ঘর নিয়ে দিক সেটাও বাবুল মেম্বার করে নি।'
বৃদ্ধা আছিয়া বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, 'মোর ছয় ছেলে মেয়ে। কেউ মোক দেখে না। মুই অন্যের বাড়ীত চায়া যা জোটে তাক দিয়া মুই এক মুঠ ভাত খাও। আর আস্তার পাশত মানসির ভুইত একখানা ঘর তুলিয়া আছো। মেম্বার বাবুল মোক প্রধানমন্ত্রীর ঘর দিবে কয়া তিন হাজার টাকা নিসে, কিন্তু আইজও মুই ঘর পাও নাই। মেম্বার মোক টাকা ফেরত দেউক না হইলে ঘর দেউক। মুই অনেক কষ্ট করিয়া তিন হাজার টাকা জোগার করছু সেই টাকা মেম্বার বাবুল খায়া ফেলাইসে।মেম্বারের মুই বিচার চাও।'
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন বলেন, 'আমি তিন হাজার টাকা নেই নাই। কার্ড করার জন্য এক হাজার টাকা নিয়েছিলাম।'
জানতে চাইলে পলাশবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইব্রাহীম তালুকদার বলেন, 'বিষয়টি আমার জানা ছিল না আপনাদের মাধ্যমে শুনলাম। তবে খোঁজ খবর নিয়ে বিষয় টি খতিয়ে দেখবো।'