ইনসাইড টক

‘সম্মেলন করে নিয়মিত ছাত্রদের মধ্যে কমিটি দিলে সমস্যা কমে যাবে’


প্রকাশ: 09/10/2022


Thumbnail

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা তো দুই এক জায়গায় হতেই থাকবে। ওদের এত বড় সংগঠন ছাত্রলীগ। দেড়শ বিশ্ববিদ্যালয় আছে, তার মধ্যে দুই-তিনটায় হয়েছে। সমস্যা হলো ওদের নিয়মিত নেতৃত্ব যেখানে নাই, বেশিরভাগ জায়গায় সম্মেলন নাই, দীর্ঘসময় প্রায় ৭ থেকে ১০ বছর সম্মেলন নাই। এখন যারা নেতা হতে চায় তারা তো আর অপেক্ষা করতে চায় না। এগুলো হলো মূল কারণ। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেটা হয়েছে যে, সেই ইলিয়াস ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছে। এত বছর যাবত আছে। এখানে অন্য যারা নেতা আছে তারা কোনদিকে যাবে, আবার তাকেও (ইলিয়াস) উপরের দিকে নিচ্ছে না। যারা নেতা হতে চায় তাদেরও আর ধৈর্য হচ্ছে না স্বাভাবিকভাবেই। শুধু এই কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এই সমস্যা আছে। আমি এটা বারবার বলি, নিয়মিত ছাত্রদের মধ্য থেকে বারবার সম্মেলন করে যদি কমিটি হয় তাহলে আর কোনো সমস্যা হয় না।

দেশের ছাত্ররাজনীতিতে ছাত্রলীগের অন্তর্কোন্দল, সহিংসতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।

অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, মজার ব্যাপার হলো, এই কমিটিগুলো হওয়ার সময় দুইজনের নাম দেয়। আর বাকীদের নাম দেয় না। বাকীরা যারা পদ প্রত্যাশী তারা এখন ঘুরতে থাকে, প্রটোকল দিকে থাকে, লবিং করতে থাকে এবং এর মধ্যে অনেক কিছু ঢুকে যায়। কখনো কখনো বলা হয়, আর্থিক লেনদেন পর্যন্ত আছে। তারপরে এই কমিটিগুলো হয়। যখনই কমিটি দেয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি যেন দেয়। যতদিন নিয়মের মধ্যে না আসবে, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বা প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত ছাত্র তাদের মধ্য থেকে কমিটি দিলে এবং নিয়মিত সম্মেলন দিলে এই সমস্যা কমে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আরেকটি বিষয় হলো, ছাত্ররা যেন ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে জড়িত না থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক যে সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য, টেন্ডার এগুলো থেকে যদি ছাত্র সংগঠনকে বিরত রাখা যায়, এটা অলাভজনক হয়ে গেলেই এত বেশি আগ্রহী হবে না। মূল সমস্যার কেন্দ্রে হলো আবাসন সমস্যা। যে কয়জন ছাত্র হলে থাকতে যায় সেই কয়টা সিট যদি আমাদের হলে থাকতো তাহলে কিন্তু এই সিট বাণিজ্য, গণরুম, গেস্টরুমে হাজিরা দেওয়া এগুলোর কোনোটাই থাকতো না। সমস্যাটা হচ্ছে আমাদের যেই পরিমাণ আবাসন দরকার তাঁর চার ভাগের এক ভাগও না থাকার কারণেই এই সমস্যাটা জটিল আকার ধারণ করছে। এটা শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা সংশ্লিষ্টদের চিন্তা করতে হবে।

অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, কোনো জায়গায় যদি কেউ ক্রিমিনাল অফেনস করে যেমন- অস্ত্র, রামদা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে তাদেরকে শুধু সংগঠন থেকেই বহিষ্কার না, তাদের চিহ্নিত করে মামলা করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। শুধু এখান থেকে বহিষ্কার করে দিলো, এই সাংগঠনিক ব্যবস্থায় হলো। কিন্তু অস্ত্র, রামদা বা বন্দুক নিয়ে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দৌড়াদৌড়ি করবে তাদেরকে দেশের ফৌজধারী আইনে বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলে এসব কমে আসবে। অন্যথায় এসব কমবে না।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭