ইনসাইড হেলথ

বিখ্যাতদেরও প্রয়োজন হয় মনের ডাক্তার


প্রকাশ: 14/10/2022


Thumbnail

সমাজে মানুষ হাসিখুশি ভাবে বেঁচে থাকার চিন্তা করে। কিন্তু কখনো কখনো সেই হাসির পেছনে লুকিয়ে থাকে  বিষণ্ণতা ও হতাশা। আর এই  বিষণ্ণতা ও হতাশা তৈরি হয় মানসিক সমস্যা থেকে। পারিপার্শ্বিক চাপ, ব্যর্থতা, হতাশা থেকে তৈরি হতে পারে এই মানসিক সমস্যাগুলো। আর এই সমস্যা সমাধানে তখন দরকার পরে একজন মনের ডাক্তার বা আমরা যাকে বলি সাইক্রাটিক্স।

আমরা মনে করি মানসিক সমস্যা হয়তো শুধু আমাদের মত সাধারণ মানুষের। কিন্তু সমাজের অনেক বড় বড় ব্যক্তিত্ব রয়েছেন যারা মানসিক সমস্যার মধ্য দিয়ে গেছেন এবং শরণাপন্ন হয়েছেন মনের ডাক্তারের কাছে। সেই তালিকায় আছেন দীপিকা পাড়ুকোন, মার্কিন অভিনেত্রী কনস্ট্যান্স উ , জেনি স্লেট, ব্রিটিশ রাজবধূ ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেলের মত মানুষরা । তারা সকলেই খোলামেলা  কথা বলেছেন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে।

দীপিকা ছিলেন ফ্রান্সের প্যারিসে। ফরাসি লাক্সারি ফ্যাশন কোম্পানি লুই ভুঁতোর হয়ে প্যারিস ফ্যাশন উইকে অংশ নেন তিনি। এরপর অংশ নেন হলিউড তারকা ও ব্রিটিশ রাজবধূ ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেলের পডকাস্ট আর্কিটাইপসে। দীপিকার সঙ্গে আরও অংশ নিয়েছিলেন মার্কিন অভিনেত্রী কনস্ট্যান্স উ ও জেনি স্লেট। এই চারজনে কথা বলেছেন মূলত মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে।

দীপিকা জানান, তিনি যখন ২০১৫ সালে গণমাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলা শুরু করেন, তখন অনেকেই শক্তি পেয়েছিল, সান্ত্বনা পেয়েছিল। আবার অনেকেই ভেবেছিল এটা হয়তো কোনো ‘পাবলিসিটি স্ট্যান্ট’। নতুন কোনো সিনেমার জন্য বা কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য, যারা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে। এদিকে, দীপিকা যখন প্যারিসে, তখন জোর গুঞ্জন চলছে যে ঘর ভাঙতে চলেছে দীপিকা ও রণবীর সিংয়ের। এক ফাঁকে সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলেছেন দীপিকা। বলেছেন, ‘আমার স্বামী রণবীর এক সপ্তাহের জন্য একটা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে গিয়েছে। ফিরে এসে আমাকে দেখে কী যে খুশি হবে!’

এদিকে মেগানও নিজের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, রাজবধূ হয়েও তিনি মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়েছেন। তাঁর সবচেয়ে কঠিন মানসিক অবস্থায় তিনি জীবনসঙ্গী প্রিন্স হ্যারিকে পাশে পেয়েছিলেন। এমনকি মনোরোগ-বিশেষজ্ঞের কাছে কাউন্সেলিংও করিয়েছেন। 

মেগান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে খারাপ মানসিক অবস্থায় আমার স্বামী আমাকে একজন মানসিক স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। সে আমাকে ফোনে তাঁর সঙ্গে ধরিয়ে দেয়। তিনি তখন একটা সুপারশপে ছিলেন। তিনি জানতেনও না যে আমি ফোন করছি। আমি নিজের পরিচয় দিয়ে বললাম যে আমি তাঁর সাহায্য চাই। তিনি আমার ভয়ংকর মনের অবস্থা শুনেছিলেন। পেশাদার মানসিক স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞকে নিজের কথা বলার সময় সর্বোচ্চ পরিমাণে সৎ থাকতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আর আপনাকে মনের কথা খুলে বলার ব্যাপারে আন্তরিক হতে হবে।’ 


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭