ইনসাইড বাংলাদেশ

বিশ্বসেরা বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় কুড়িগ্রামের মামুন


প্রকাশ: 15/10/2022


Thumbnail

বিশ্বসেরা ২% বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায় বাংলাদেশ থেকে এ বছর ১৪২ জন স্থান পেয়েছেন। গত বছরের ন্যায় এ বছরও তালিকাভুক্ত হয়েছেন কুড়িগ্রামের মামুন। বাংলাদেশীদের মধ্যে ৭ম স্থানে আছেন। 

আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক জন পি.এ. ইয়োনিডিস গত ১০ অক্টোবর স্কোপাস ডাটাবেজে নথিভুক্ত প্রকাশনার উপর ভিত্তি করে বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষণা বিজ্ঞানীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেন। 

এটিতে দু'টি ধাপে সেরা গবেষক নির্ধারণ করা হয়। এর একটি হল পুরো পেশাগত জীবনের ওপর আরেকটি শুধু এক বছরের গবেষণা কর্মের ওপর। বিজ্ঞানীদের প্রকাশনা সংখ্যা, এইচ-ইনডেক্স, সাইটেশন ও অন্যান্য সূচকগুলো বিশ্লেষণ করে তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়। ওই প্রতিবেদনটি বিজ্ঞানীদের ২২টি বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্র এবং ১৭৬টি উপ-ক্ষেত্রে শ্রেণীবদ্ধ করে মোট ২ লক্ষ জন গবেষককে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

এতে বাংলাদেশ থেকে মোট সেরা গবেষকের সংখ্যা ১৪২ জন যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ-র ১৬ জন। পাশাপাশি এই তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। তালিকায় স্থান পাওয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫জন শিক্ষকের পাশাপাশি পাবলিক হেলথ এন্ড ইমফোরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ এ. মামুন। 

উল্লেখ্য যে, এবারের মত মামুন গত বছরও বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকাভুক্ত ছিলেন এবং বাংলাদেশীদের মধ্যে ৭ম স্থানে আছেন। 

শিক্ষার্থী মামুন কুড়িগ্রাম জেলার, নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের কুঠি-নাওডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সেখানেই স্কুল ও কলেজ শেষ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে। কিন্তু, গবেষণার প্রতি অত্যন্ত অনুরাগী মামুন, পরের বছরই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগে ভর্তি হন। 

পরে তিনি নিজে গবেষণা ছাড়াও ২০১৭ সালে গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'চিন্তা রিসার্চ বাংলাদেশ' প্রতিষ্ঠা করেন। এর ব্যানারে দেশী-বিদেশী গবেষকদের সাথে কাজ করে যাচ্ছে মামুন। এছাড়াও তিনি নতুন গবেষকদের জন্য কিছু মেন্টরিং-ট্রেইনিং প্রোগ্রাম করে যাচ্ছেন। মামুন গবেষণা করছেন মানসিক স্বাস্থ্য, আত্মহত্যা, এবং পাবলিক হেলথের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে যা বাংলাদেশে অবহেলিত। 

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে ডিগ্রী দিচ্ছে, আমার এই র‍্যাংকিং দিয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে কিছুটা হলেও তার প্রতিদান দিতে পেরেছি এটা আমার অনেক বড় প্রাপ্তি। আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে সারাজীবন সার্ভ করতে চাই।  আরেকটা অনুরোধ করতে চাই, যাতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে ছাত্রদের জন্য গবেষণা অনুদান থাকে। তাহলে আমার মত আরও অনেকেই গবেষণা করবে এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন র‍্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাবে।

তরুণ গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ এ মামুন শিক্ষার্থীদের জন্যও গবেষণা অনুদান দাবি করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম তালিকায় স্থান পাওয়া সেরা গবেষকদের অভিনন্দন জানান ও গবেষণা পরিবেশ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। 

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এরকম অর্জনে উপাচার্য হিসেবে আমি অনেক বেশি আনন্দিত ও গর্বিত বোধ করছি। শিক্ষা ও গবেষণায় আমরা যে এগিয়ে যাচ্ছি তার প্রমাণ এটি আর এর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি। তালিকায় স্থান পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের জন্য শুভকামনা।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭