ইনসাইড টক

‘গাইবান্ধায় নির্বাচন বন্ধ করে ইসি নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত রেখেছে’


প্রকাশ: 16/10/2022


Thumbnail

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং অর্থনীতিবিদ ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন স্থগিত করার কারণে আমি নির্বাচন কমিশনকে সাধুবাদ জানাই। একই সাথে সাধুবাদ জানাই যে, তারা বুঝতে সক্ষম হয়েছে নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা তাদের আছে। নির্বাচন কমিশনের এটি একটি খুব ভালো দিক। বলা যেতে পারে তারা একটি নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত রাখলো গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনে। প্রথমবারের মতো কমিশন একটি উপ-নির্বাচন করলো এবং সেখানে তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে, এটি ইতিবাচক।

গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন। ইসির এই সিদ্ধান্ত বিভিন্ন মহলে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মন্তব্য করা হচ্ছে। নির্বাচন বন্ধ করা ইসির সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ড. বদিউল আলম মজুমদার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। পাঠকদের জন্য ড. বদিউল আলম মজুমদার এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।

 ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ইসি সেখানে নির্বাচন বন্ধ করলো কিন্তু এর শিক্ষা কি? এর থেকে শিক্ষা হলো যে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু হতে পারে না। অতীতে আমাদের যে অভিজ্ঞতা তার সঙ্গে এই নির্বাচন সঙ্গিতপূর্ণ। ঐতিহাসিকভাবে আমাদের যে ১১ টি নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে ৭টি হয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে এবং সবগুলো বিতর্কিত। ক্ষমতায় যারা ছিলো তারাই আবার ক্ষমতায় এসেছে। একটা হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এবং সেটি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তার মানে দলীয় সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না, সেটি গাইবান্ধায় আবার প্রমাণ হলো। 

তিনি বলেন, আগামীতে যে জাতীয় নির্বাচন হবে সে সময় তো ৩০০ আসনে নির্বাচন হবে। তখন কিভাবে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে? নির্বাচন কমিশনের যদি এই বোধের উদয় হয় যে, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে এবং সেটা তাদের দায়িত্ব তাহলে কমিশনের উচিত যারা  অন্যায় করেছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ইসির উচিত হবে, ক্ষমতাসীন দল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষ আচরণ করবে এমন একটি আইনি কাঠামো তৈরি করা। এটা করতে না পারলে ইসি তাদের সাংবিধানিক শপথ ভঙ্গ করবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের মধ্যে ইভিএম নিয়ে এক ধরনের ইতিবাচক মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইভিএমের সমস্যা হলো গোপন কক্ষে ডাকাত। সেটি একটি মানইর সমস্যা। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তারা যারা ঢাকায় বসে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিবে বা দিতে পারে। তারা এমন ফলাফল ঘোষণা করতে পারে যেটি আর কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। এটা তো গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু এখনকার বাস্তবতা এটাই। নির্বাচন কমিশন সিসিটিভি দিয়ে সমাধানের পথ নিয়েছে কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে যদি ৪৫ হাজার কেন্দ্র হয় তাহলে এই ৪৫ হাজারে আরও কয়েক গুণ বুথ হবে। তখন ইসি কিভাবে এতোগুলো সিসিটিভি সামলাবে। সেটি পাচঁজন কমিশনার দিয়ে সম্ভব হবে না। সিসিটিভি দিয়ে নয় বরং এমন একটি কাঠামো করা দরকার যাতে করে যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবে তারা যেন নিরপেক্ষ আচরণ করতে পারে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭