৭২ ঘণ্টার মধ্যে বস্তাবন্দী লাশের রহস্য উদঘাটন

কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম সোমবার গাজীপুর সহ আশপাশ এলাকা থেকে  নিহতের স্বামী মেহেদী ও বাসার মালিক লাশগুমের মহানায়ক স্বপনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে হত‍্যার দায় স্বীকার করে আদালতের কাছে স্বীকারোক্তি দেয় তারা।

নিহত তাছলিমা(৩২) নান্দাইলের ভাসাটি গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে। 

এ ঘটনায় নিহতের পিতা আব্দুর রশিদ বাদি হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা নং ৫৬(১০)২২ দায়ের করে। 

সদর সার্কেল এবং কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ সোমবার দুপুরে  এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, গত ১৪ অক্টোবর (শুক্রবার) সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আকুয়া- রহমতপুর বাইপাস রোডের বাদেকল্পা এলাকা থেকে অজ্ঞাত নারীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে  পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের পরিচয় সনাক্ত করা হয়।

ঘটনা বিষয়ে ওসি শাহ কামাল আকন্দ আরও  বলেন, ফুলপুরের মেহেদীর সাথে তৃতীয় বারের মতো বিয়ে হয় নিহত তাছলিমার। বিয়ের পর স্বামী মেহেদীকে নিয়ে চট্টগ্রামে বসবাস করছিল। পরবর্তীতে গত ১১ অক্টোবর মঙ্গলবার তারা স্বামী-স্ত্রী চট্টগ্রাম থেকে গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় স্বপনের বাসায় ভাড়া উঠে। পরদিন বুধবার রাতে ঐ বাসায় স্ত্রী তাছলিমাকে হত্যা করে স্বামী মেহেদী পালিয়ে যায়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ওই হত্যাকাণ্ডের রহস্য দ্রুততম সময়ে উদঘাটন এবং হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের সোমবার দিবাগত রাতে গাজীপুর এলাকা থেকে  তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের দেওয়া তথ‍্য মতে, হত্যার পর স্বামী মেহেদী লাশ  ফেলে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির মালিক স্বপন নতুন ভাড়াটিয়া তাছলিমা ও তার স্বামী মেহেদীর জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে বাড়িতে গিয়ে  দরজার কড়া নেড়ে শব্দ না পেয়ে দরজা ধাক্কা দেয় এবং দরজা খুলে তাছলিমার উলঙ্গ মৃতদেহ পরে থাকতে দেখেন। স্বপন ভয়ে পুলিশ কিংবা তেমন কাউকে কিছু না জানিয়ে লাশ গুমের পরিকল্পনা শুরু করে। বৃহস্পতিবার দিনভর ঘর বন্ধ রাখার পর ওই রাতে লাশ বস্তাবন্দী করে স্বপনের নিজস্ব প্রাইভেটকারে বস্তাবন্দী লাশ নিয়ে নির্জন স্থানে আকুয়া- রহমতপুর বাইপাসের বাদেকল্লা এলাকায় নারীর বস্তাবন্দী লাশ ফেলে পালিয়ে যায় স্বপন ও তার সহযোগীরা।