ইনসাইড টক

‘প্রথমবার জ্বর হলেই অবহেলা না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে’


প্রকাশ: 20/10/2022


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, ডেঙ্গুর ৪ টি সিনোটাইপ আছে। এবার টাইপ-৩ বেশি হচ্ছে যেটি বেশি সিরিয়াস। এ কারণেই এবার মৃত্যুসংখ্যা বেশি। যারাই মারা যাচ্ছে তাঁরা আগে দুই একবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল। এখন নতুন করে হওয়াতে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এজন্য মারা যাচ্ছে বেশি। বাচ্চারা আক্রান্ত হচ্ছে। বাচ্ছাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক একটু কম। তাই বাচ্চাদের মৃত্যুঝুঁকিটাও বেশি। মেয়েরাও আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের ঝুঁকিটাও বেশি।

সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গুতে আশঙ্কাজনকহারে মৃত্যু বেড়ে যাওয়া, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া, প্রতিকারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব মাহমুদুল হাসান তুহিন।

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, প্রথমবারের মতো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে সেটি তেমন সিরিয়াস হয় না। কিন্তু দ্বিতীয়বার বা তৃতীয়বারের মতো আক্রান্ত হলে সেটি অনেক সিরিয়াস হয়ে যায়। যারা মারা যাচ্ছেন তারা এর আগেও নিশ্চিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক সময় লক্ষণগুলো বুঝা যায় না। অনেকের শুরুতে আবার একটু জ্বর হয়, অনেকে আবার অবহেলা করে। যখন সিরিয়াস হয়ে যায় তখন হয়তো হাসপাতালে যায়, তখন জটিলতাটা বাড়ে। প্রথমবার জ্বর হলেই অবহেলা না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব জানিয়ে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে, থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির সঙ্গে ডেঙ্গু রোগের একটি সম্পর্ক আছে। বৃষ্টির ফলে ঘরে-বাইরে যেকোনো জায়গায় পানি জমে। পরিত্যক্ত ক্যান, টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের প্যাকেট এই রকম পরিত্যক্ত যেকোনো জিনিসের মধ্যে অল্প অল্প বৃষ্টির পানি বিক্ষিপ্তভাবে জমে যায়। পরিত্যক্ত এসব জায়গায় জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু মশা জন্ম নেয় এবং এই ডেঙ্গু মশা আবার মানুষের ঘরে যায়। ঘরে গিয়ে সেখানেও বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানি ডেঙ্গু মশা বংশবিস্তার করে। এখন যেহেতু মশার বংশবিস্তার হচ্ছে, মশার প্রজনন ক্ষেত্রও রয়ে গেছে। ডেঙ্গুর এই প্রাদুর্ভাব শীতের আগে পর্যন্ত থাকবে।

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সচেতন থাকতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মশা যেন না কামড় দেয় সেজন্য সচেতন থাকতে হবে। মশার বংশবৃদ্ধি রোধে নিজেদের ঘরবাড়ি সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নিজের ঘরের দায়িত্ব নিজেকেই পালন করতে হবে। ঘরের বাইরে যেমন- রাস্তাঘাট ইত্যাদির দায়িত্ব প্রশাসন পালন করবে। এয়ারপোর্টে যেমন আলাদা প্রশাসন আছে, সিটি কর্পোরেশন আছে, রাজউক আছে, ভূমি মন্ত্রণালয় আছে- এদের সবার সমন্বয়েই মশক নিধন কার্যক্রম চালাতে হবে। মশক নিধন যদি সঠিকভাবে করতে না পারা যায় তাহলে ডেঙ্গু বাড়তেই থাকবে এবং মৃত্যুঝুঁকিও বাড়বেই। আসলে প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে, কাউকে দোষারোপ করে তো লাভ নেই। ডেঙ্গু নির্মূল করা সম্ভব না হলেও নিয়ন্ত্রণ তো করা সম্ভব।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭