ইনসাইড বাংলাদেশ

টয়লেটে আটক দেবর-ভাবি, অতঃপর...


প্রকাশ: 20/10/2022


Thumbnail

লালমনিরহাট পাটগ্রাম উপজেলাধীন শ্রীরামপুর ইউনিয়নে প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাহিত মেয়ের অবৈধ সম্পর্কের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুর্ব আজিজপুর বুদলুকামাতে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। 

মেয়েটির স্বামী ও এক ছেলে নিয়ে সংসার থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে পাশের বাড়ির রাকিবের (২২) সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। তার স্বামী আশরাফুল (২৪) প্রতিবেশীদের সাথে করে টয়লেটে তাদের হাতেনাতে আটক করেন বলে জানা যায়।

স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে আশরাফুল বলেন, আমি অনেকদিন থেকে শুনে আসছি কিন্তু বিশ্বাস করিনি। তবে ঘটনার দিন ভোরবেলা তারা টয়লেটে শারীরিক সম্পর্কে জড়াবে বলে আগে থেকে একে অপরের যোগাযোগ বুঝতে পেরে সতর্ক থাকি। পরে পাড়া প্রতিবেশী সহকারে ঠিক ভোরবেলা আমাদের টয়লেটে দু'জনকে উলঙ্গ অবস্থায় আটক করি। আমি তাকে ঘরে তুলতে চাই না, প্রয়োজনে আত্মহত্যা করবেন বলেও জানান আশরাফুল। এবিষয়ে মেয়েটি জানান, রাকিব তাকে ভাবি সম্বোধন করে ডাকায় নানাভাবে ভুলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ছেলের সঙ্গে কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক হলেও ঘটনার দিন এরকম কিছু হয়নি বলে জানান মেয়েটি। তবে মেয়েটি ছেলেকে বিয়ে করতে চান, নাহলে বিষ খেয়ে মারা যাওয়ার কথা বলেন। অন্যদিকে ছেলের সঙ্গে কথা হলে সে জানায়, তার সঙ্গে মাঝে মাঝে কথা হত। কোনো সম্পর্ক তার সাথে ছিলো না। তারা জোর করে ঘরে ঢুকিয়ে অপবাদ দিয়েছে। সে মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায় না বলেও জানান। 

জানা যায়, এলাকার প্রভাবশালী নেতা এবিএম নুর শাহীনের নেতৃত্বে ঐদিন সন্ধ্যায় ওয়ার্ড সদস্য মাইদুল ইসলাম টিটু ও অন্যান্যদের সাথে নিয়ে মিমাংসা করতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। ওই যুবতীকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বললে উপস্থিত এলাকাবাসী ক্ষেপে গেলে গ্রাম্য সালিশটি ভেঙ্গে যায়। এসময় বিচারকদের বিরুদ্ধে বিচার নিয়ে টালবাহানা ও টাকা খাওয়ারও অভিযোগ শোনা যায়। এক পর্যায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর পেয়ে পাটগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের থানায় নিয়ে আসে। নুর শাহীন ও টিটু মেম্বারের সূত্র থেকে জানা যায়, বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে মেয়ের সম্মতিতে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় মিমাংসা করা হয়। 

এবিষয়ে নুর শাহীন জানান, মেয়েটির ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিশেষ বিবেচনায় একটি সমাধান করেছি আমরা। টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে পরে কথা হবে বলে জানান। ৭ নস্বর ওয়ার্ড সদস্য মাইদুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। একইভাবে শ্রীরামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রধানের সঙ্গেও যোগাযোগ করে কোনো সাড়া মেলেনি। পাটগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান মোকছেদ জানান, উভয়েরই আপোষে সম্মতি থাকায় বিষয়টি থানায় সমাধান হয়েছে। আর আশরাফুলের বিষয়টি আলোচনা করে পরবর্তীতে সমাধান করা হবে। কিন্তু আশরাফুলের পরিবার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আপোষ হয়ে গেলো অথচ আমরা জানিনা। আমাদের বিষয়টি কেনো সুরাহা হলো না আপনারাই বিচার করেন।

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক জানান, ঘটনার দিন রাতে ছেলে ও মেয়েকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছিল। পরেরদিন পর্যন্ত উভয়ের কোনো অভিযোগ না থাকায় বিষয়টি আপোষনামার মাধ্যমে সমাধান করা হয়। আর টাকার লেনদেনের বিষয় আমি অবগত নই।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭