সাতক্ষীরা জেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও সিভিল ডিফেন্স অফিসে চলতে থাকা অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় স্টাফদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন স্টেশন কর্মকর্তা অর্ঘ্য দেবনাথ। আহত কর্মকর্তা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এদিকে আহত ছেলেকে নিয়ে উদ্বেগ-আতঙ্কে পড়েছেন বাবা-মা সহ পরিবারের সদস্যরা।
গত ১৭ ই অক্টোবর সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-পরিচালক ইন্ধনে স্টাফরা তাকে বেধড়ক মারপিট করেন।
এবিষয়ে অর্ঘ্য দেবনাথ অভিযোগ করেন, উপ-সহকারী পরিচালক তারেক হাসান ভূইয়া দীর্ঘদিন যাবত অনিয়ম-দুর্নীতি করে চলেছেন। আমি তার ঘোর প্রতিবাদ করি।তারই সূত্র ধরে গত বুধবার সকালে ফায়ার সার্ভিস এর স্টাফদের অধিদপ্তরের নিয়ম কানুন মেনে ডিউটি করতে বলি। তখন উপ-সহকারী পরিচালক তারেক হাসান ভূইয়া স্টাফদের ইন্ধন প্রদান করেন আমাকে মারপিট করার জন্য।
তিনি আরও বলেন,তৎক্ষনাত স্টাফরা পেছন থেকে গলা চেপে ধরে আমাকে টানতে টানতে অফিসের বাইরে নিয়ে আসে। সেখানে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। একপর্যায়ে আমি নিজেেক রক্ষা করতে দৌড়ে বের হয়ে আসি। ডিএডি স্যারের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে এভাবে লাঞ্ছিত করেছে।
ভুক্তভোগী কর্মকর্তার মা শান্তা দেবনাথ বলেন, আমাদের হুমকি দিয়ে বলেছে, পালানোর পথ পাবা না। আমার স্টাফরা যদি তোমাকে ধরে, তোমাকে ছিন্নভিন্ন করে ফেলবে।
ভুক্তভোগীর বাবা অরুপ কুমার দেবনাথ বলেন, ঠিকাদারী কিছু কাজ হয়েছে। সেখানে অনেক দুর্নীতি হয়েছে। সে ব্যাপারে স্টেশন অফিসার হিসেবে ডিএডি স্যার অর্ঘ্যকে বলেছে, তুমি প্রত্যয়ন দাও। ইঞ্জিনিয়াররাও বলেছে প্রত্যয়ন দিতে। অর্ঘ্য এসব কাজ না দেখায় প্রত্যয়ন দিতে রাজি হয়নি। তাই তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
এদিকে,তারেক হাসানের সাথে অর্ঘ্য দেবনাথের কথোপকথোনের একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। তাতে অর্ঘ্য বলছেন, পাইপ যখন খুলছে তখন তার ভেতরে ফেন্সিডিলের বোতল পাওয়া গেছে, স্যার। তারেক বলেন, তাই? জবাবে অর্ঘ্য বলেন, হিউজ পরিমাণে স্যার। উত্তরে তারেক হাসান বলেন, আচ্ছা আচ্ছা চুপ থাকো। আমাদের মধ্যেই তো কেউ খাইছে, মাইনসে তো আর খায় নাই।
এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে গেলে উপ-সহকারী পরিচালক তারেক হাসান কথা বলতে রাজি হননি।