ইনসাইড টক

‘বিএনপির সমাবেশগুলোতে জনসমাগম মিডিয়ার সৃষ্টি’


প্রকাশ: 22/10/2022


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, বিএনপি আজকে খুলনার যে জায়গায় সমাবেশ করছে গতকাল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন সেখানে গণমিছিল করেছে। খুলনায় বিএনপির আজকের সমাবেশ বন্ধ করা যদি আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য থাকতো তাহলে গতকালের গণমিছিলের ফলে বিএনপির কোনো শক্তি নেই আজকে সেখানে সমাবেশ করার। বিএনপি সমাবেশের নামে একটি নাটক শুরু করেছে, যে নাটকের উদ্দেশ্য হলো দেশের মধ্যে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার উদ্দেশ্য যদি বিএনপির থাকতো, তাহলে নেতারা কাঁচা বাঁশ নিয়ে কর্মীদের সমাবেশ যাওয়ার নির্দেশ নিতেন না। কিন্তু তারা তো সেটাই করছে। খুলনা রেল স্টেশনে বিএনপি কর্মীরা হামলা করেছে।

চট্টগ্রাম এবং ময়মনিসংহে বিভাগীয় সমাবেশ শেষে আজ খুলনায় গণসমাবেশ করছে বিএনপি। সমাবেশের দুদিন আগে থেকেই খুলনার সকল যান চলাচল আওয়ামী লীগ বন্ধ রেখেছে বলে বিএনপি অভিযোগ করেছে। তারপরও আজ সমাবেশ করছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ কেন বিএনপির সমাবেশগুলোতে বাধা দিচ্ছে এই নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে আলাপচারিতায় এস এম কামাল হোসেন এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য এস এম কামাল হোসেন এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

এস এম কামাল হোসেন বলেন, এখন বলা হচ্ছে যে বিএনপির সমাবেশগুলোতে অনেক লোক হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো বিএনপির সমাবেশগুলোতে জনসমাগম হলো মিডিয়ার সৃষ্টি। বস্তুত আদৌ সমাবেশগুলোতে জনসমাগম হচ্ছে না, যতটা বিএনপির নেতারা প্রচার করছেন। সমাবেশে কর্মীরা ছাড়া কোনো সাধারণ মানুষ আসছে না। খুলনায় বিএনপি আজ রাস্তার ওপর সমাবেশ করছে। স্বাভাবিকভাবে লোকের সমাগম হচ্ছে। কিন্তু রাস্তার ওপর আর কত মানুষের জায়গায় হয় সেটা সহজে অনুমান করা যায়। সেটার জন্য কোনো গাণিতিক হিসেবে বসার দরকার নেই। তবে বিএনপির সমাবেশে জনসমাগম হচ্ছে কি হচ্ছে না তাতে আওয়ামী লীগের কিছু যায় আসে না।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের ২৫ শতাংশ লোকে যুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলো। সেই ২৫ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করছে বিএনপি। তাদের মধ্যে একটি অংশ তো এখনো চায় এই দেশটি পাকিস্তান হয়ে যাক। সেটা নেতাদের কথায় ইতোমধ্যে উঠে এসেছে। মির্জা ফখরুল বলেছেন, তিনি নাকি পাকিস্তানের আমলে ভালো ছিলেন। এই হলো বিএনপির রাজনীতি।

আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বিএনপির শাসনামলে একবার পল্টনে সমাবেশের সময় একদিনে আট হাজার সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। রবিন নামে এক পঞ্চম শ্রেণির স্কুলছাত্র তার নির্দোষ বাবার মুক্তির জন্য থানার সামনে কান্না করেছিলো। কিন্তু তার বাবাকে সেদিন মুক্তি দেওয়া হয়নি। বিএনপি ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ওপর যে নির্যাতন করেছে তাতে সাধারণ মানুষ বিএনপির নাম শুনলে আতঙ্কে ওঠে। দলটির চেয়ারপার্সন এতিমের টাকা আত্মসাৎ করার কারণে আজ জেলে। আরেক নেতা তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে আছেন। সেজন্য বিএনপি জানে তারা আর কখনো রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাই তারা এখন দেশের অগ্রগতিকে ব্যাহত করার জন্য ষড়যন্ত্র করে অগণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭