ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা উপজেলায় জবাইকৃত হরিণের ১০ কেজি মাংসসহ এক হরিণ শিকারিকে আটক করেছে বন বিভাগ।
শনিবার (২২অক্টোবর) সকাল ১০টায় আটককৃত হরিণ শিকারির বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
শুক্রবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চরপিয়াল সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে জবাইকৃত হরিণের ১০ কেজি মাংসসহ হরিণ শিকারিকে আটক করে পঁচা কোড়ালিয়া বিটের কর্মরত বনপ্রহরীরা। পরে শুক্রবার রাত ১১টার হরিণের মাংসসহ শিকারিকে মনপুরা রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসে।
আটককৃত হরিণ শিকারি উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত সুলতান মাঝির ছেলে মো. সোলেমান (২৫)।
পঁচা কোড়ালিয়া বিট কর্মকর্তা মো. আব্বাস উদ্দিন জানান, শুক্রবার বিকালে বনপ্রহরী শাহাদাত, রাকিব ও নাজমুল হোসেনকে নিয়ে বিচ্ছিন্ন চরপিয়াল সংরক্ষিত বনাঞ্চলে টহল দিতে যান। একপর্যায়ে বনের ভেতরে দেখতে পান কয়েকজন শিকারি হরিণ জবাই করে নিজেদের মধ্যে মাংস ভাগবাটোয়ারা শেষ করে চলে যাচ্ছেন।
এই সময় শিকারিদের ধাওয়া করে সোলেমান নামে এক শিকারিকে ১০ কেজি জবাইকৃত হরিণের মাংসসহ আটক করে শুক্রবার রাতে উপজেলা রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়। তবে অপর শিকারিরা গহিন বনে পালিয়ে যাওয়ায় ধরতে পারেনি বন বিভাগ।
বাংলাদেশ বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ তথ্যমতে, আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) চিত্রা ‘ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত’ বলে তালিকাভুক্ত করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২-এর তফসিল-২ অনুযায়ী এই বন্যপ্রাণীটি সংরক্ষিত। তাই এটি হত্যা, শিকার বা এর কোনো ক্ষতি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।