ইনসাইড টক

‘সিত্রাং নিয়ে যতটা আশঙ্কা ছিল, সেভাবে আঘাত হানবে না’


প্রকাশ: 24/10/2022


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশিদ বলেছেন, আমাদের দেশের ঘূর্ণিঝড়ের ওপর ফোকাস এখন অনেক ভালো। ফলে দুর্যোগ মন্ত্রণালয় সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে বলেই আমরা লক্ষ্য করেছি। গতকাল মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন যে, তারা সম্পূর্ণরূপে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নিয়েছেন। কোনো কোনো অঞ্চলে এই ঘূর্ণিঝড়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেগুলো ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রায় ১৯টি অঞ্চল চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়টি যদি আমাদের দেশে আঘাত আনে তাহলে আমাদের কি কি ক্ষতি হতে পারে এবং সেই ক্ষতিগুলো যেন না হয় সেজন্য কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা যারা দায়িত্বে আছেন তারা প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। অতীতেও এ ধরনের দুর্যোগ আমরা ভালোভাবে মোকাবিলা করেছি। আমাদের এখানে ঘূর্ণিঝড়ে মানুষ মারা যায় না। এটা আমাদের একটি বড় সফলতা।

আজ সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। সিত্রাং এর ফলে কি ধরনের ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কা আছে এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশিদ এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশিদ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

ড. তৌহিদা রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় কি পরিমাণে ক্ষতি হবে সেটি অনেকটা নির্ভর করে ঘূর্ণিঝড় কখন আঘাত আনছে তার ওপর। যদি জোয়ারের সময় আঘাত হানে, তখন পানি বেশি ভেতরে চলে আসবে। ফলে ক্ষতির পরিমাণ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে। ভাটার সময় হলে তখন আবার ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম হবে। তবে এবার মনে হচ্ছে যে, জোয়ারের সময় ঘূর্ণিঝড়টি হতে পারে। সেভাবে কিন্তু সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কথা আমরা প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন আগে থেকেই জানতে পেরেছি এবং যেভাবে তীব্র আঘাতের কথা বলা হয়েছিল ততটা আঘাত হানবে না বলেই এখন পর্যন্ত তথ্য পাওয়া গেছে। ফলে আমাদের যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হওয়া কথা ছিল সেভাবে হয়তো হবে না। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে এখন নানামুখী কার্যকরী পদক্ষেপ আছে। আগে যেমন, গবাদিপশুদের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা ছিল না। নারী পুরুষের আলাদা আশ্রয় কেন্দ্র ছিল না। কিন্তু এখন এগুলো আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় নতুন নতুন আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। যেকোনো ঘূর্ণিঝড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করার মতো বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে। 

ভবিষ্যতে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য কি ধরনের দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনার নেয়া উচিত জানতে চাইলে ড. তৌহিদা রশিদ বলেন, আমাদের পরিকল্পনার হতে হবে ফোকাস বেইস। কোথায় কি ধরনের, কি দুর্যোগ প্রবণ আছে সেটা চিহ্নিত করতে হবে। এখন জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় ব্যাপার। সেজন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুটিকে সামনে রাখা উচিত। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ভবিষ্যতে যে ঘূর্ণিঝড়গুলো হবে সেগুলো আরও বেশি শক্তিশালী হবে। তখন ক্ষয় ক্ষতির আশঙ্কাও বেশি থাকবে। সুতরাং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুটি গুরুত্ব দিয়ে আমাদের দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭