রাতেই স্থিতিশীল হচ্ছে চিনির বাজার

গত কয়েক দিনে বাজারে চাহিদার তুলনায় চিনির সরবরাহ কম বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশি দামেও চিনি মিলছে না। সংকটের কথা বলে সরকারের বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। এতে ৯০ টাকা দরের খোলা চিনির দাম প্রতি কেজি ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে মিল মালিক, রিফাইনারি প্রতিষ্ঠান ও পাইকারদের কাছে মজুত চিনি বাজারে ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিনির মার্কেটে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এ নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। ফলে অচিরেই বাজারে চিনির সংকট কেটে যাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) চিনিসহ নিত্যপণ্যের বিষয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ তথ্য জানান।

এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রতিযোগিতা কমিশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারি কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, চিনিসহ নিত্যপণ্যের বিষয়ে সকালে সভা হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস সভাপতিত্ব করেন।

প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে মিল, রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ১ লাখ মেট্রিক টন পরিশোধিত চিনি মজুত আছে। সেগুলো বাজারে সরবরাহ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আশা করছি, রাত থেকেই চিনির বাজার স্থিতিশীল হবে।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কমের অজুহাতে হঠাৎ চিনির বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। অনেক এলাকায় চিনি গায়েব হয়ে গেছে। 

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, চাহিদার তুলনায় দেশে পর্যাপ্ত চিনি আমদানি হয়েছে। ঘাটতির কোনো সম্ভাবনা নেই।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে চিনির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। কোনো কোনো স্থানে তা পাওয়া যাচ্ছে না।