ইনসাইড টক

‘ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীতে সুস্থ্য থাকতে বিশুদ্ধ পানির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে’


প্রকাশ: 25/10/2022


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারণে উপকূলীয় মানুষদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এখন মানুষের কাজ নেই, ঘরে খাবার নেই, বিশুদ্ধ পানিরও সংকট দেখা দিয়েছে-নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এ সময় তাদের জন্য শুকনো খাবার এবং নিরাপদ বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। 

ঘূর্ণিঝড় বন্যাকবলিত অঞ্চলে পরবর্তীতে মানুষের সুস্থ্য থাকা এবং দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুভার্ব বেড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে এখন একসঙ্গে অনেকে অবস্থান করছেন। যেখানে সবাইকে শুকনো খাবার যেমন, বিস্কুট, মুড়ি, চিড়া, গুড় এই সমস্ত দেওয়া উচিত। এর পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পানির ব্যবস্থা করা এবং সেটা অবশ্যই নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে হবে। সবাইকে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিতে হবে। এছাড়া বোতলজাত পানিরও ব্যবস্থা করা যেতে পারে। 

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব জানিয়ে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে, থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির সঙ্গে ডেঙ্গু রোগের একটি সম্পর্ক আছে। বৃষ্টির ফলে ঘরে-বাইরে যেকোনো জায়গায় পানি জমে। পরিত্যক্ত ক্যান, টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের প্যাকেট এই রকম পরিত্যক্ত যেকোনো জিনিসের মধ্যে অল্প অল্প বৃষ্টির পানি বিক্ষিপ্তভাবে জমে যায়। পরিত্যক্ত এসব জায়গায় জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু মশা জন্ম নেয় এবং এই ডেঙ্গু মশা আবার মানুষের ঘরে যায়। ঘরে গিয়ে সেখানেও বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানি ডেঙ্গু মশা বংশবিস্তার করে। এখন যেহেতু মশার বংশবিস্তার হচ্ছে, মশার প্রজনন ক্ষেত্রও রয়ে গেছে। ডেঙ্গুর এই প্রাদুর্ভাব শীতের আগে পর্যন্ত থাকবে।

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সচেতন থাকতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মশা যেন না কামড় দেয় সেজন্য সচেতন থাকতে হবে। মশার বংশবৃদ্ধি রোধে নিজেদের ঘরবাড়ি সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নিজের ঘরের দায়িত্ব নিজেকেই পালন করতে হবে। ঘরের বাইরে যেমন- রাস্তাঘাট ইত্যাদির দায়িত্ব প্রশাসন পালন করবে। এয়ারপোর্টে যেমন আলাদা প্রশাসন আছে, সিটি কর্পোরেশন আছে, রাজউক আছে, ভূমি মন্ত্রণালয় আছে- এদের সবার সমন্বয়েই মশক নিধন কার্যক্রম চালাতে হবে। মশক নিধন যদি সঠিকভাবে করতে না পারা যায় তাহলে ডেঙ্গু বাড়তেই থাকবে এবং মৃত্যুঝুঁকিও বাড়বেই। আসলে প্রত্যেক


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭