গতকাল ২৪ অক্টোবর উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। সন্ধ্যার পর পটুয়াখালীর খেপুপাড়া, ভোলা, বরগুনা ও বরিশাল উপকূলে সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ আঘাত হেনেছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। এর আগে সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারণে সারা দেশব্যাপী বৃষ্টি দাপিয়ে রেখেছিল। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর আঘাতে দেশের ৪১৯টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ঘূর্ণিঝড়ে এ পর্যন্ত নয় জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন আগেই। সেভাবে প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও ছুটি বাতিল করা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলা করতে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ ও তদারকিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তার কার্যালয়ে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশে ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জরুরি সভা করেছে আওয়ামী লীগ। সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটিকে ত্রাণ তৎপরতা কার্যক্রম গ্রহণ ও প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু এই নির্দেশনা শুধু ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির জন্য ছিল না। বরং আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর জন্যই এ নির্দেশনা ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে ভিন্ন অবস্থা। দলের এই ধরনের নির্দেশনার কথা জানেন না খোদ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাই। দলের একজন সাংগঠনিক সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিত্রাং মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের গতকালের জরুরি সভার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। এমনকি প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন সে বিষয়টিও তারা জানেন না।
এমন বাস্তবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন যে, যখন দলের কেন্দ্রীয় নেতারাই এই বিষয়ে অবগত নন তখন সঙ্গত কারণেই আমরা সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবো না। আমরা যারা তৃণমূলে কাজ করছি, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি আমরা কেন্দ্র থেকে যেভাবে নির্দেশনা পাই সেভাবে কাজ করি। এর বাইরে গিয়ে কাজ করার এখতিয়ার আমাদের নেই। কারণ আমরা দলের চেইন অব কমান্ড মেনে চলি এবং সেটা মানতে আমরা বাধ্য যেহেতু আমরা একটি দলের গণতন্ত্র বিশ্বাস করি। কিন্তু এটা চরম হতাশার যে, আমরা যাদের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করি তারা দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা জাননে না। তারা আরও বলেন যে, দলের অনেক কেন্দ্রীয় নেতাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে না। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে একটি ভুল বার্তা যাচ্ছে।