ইনসাইড এডুকেশন

শিক্ষক দিবস আজ


প্রকাশ: 27/10/2022


Thumbnail

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) শিক্ষক দিবস।  অনেকেই তাদের প্রিয় শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। শিক্ষকদের শ্রদ্ধা না জানানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ তাদের কারণে শিক্ষার্থীদের জীবনের গতিপথ, আদর্শ, বিবেক, দায়িত্ববোধের উপর প্রভাব পড়ে থাকে।

শিক্ষক দিবস হলো শিক্ষকদের সম্মানে পালিত একটি বিশেষ দিবস। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভিন্ন ভিন্ন দিনে এ দিবস পালন করে। ভারত ১৯৬২ সাল থেকে দেশের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ও দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিন ৫ সেপ্টেম্বর, আর্জেন্টিনা ১১ সেপ্টেম্বর, ব্রুনাই ২৩ সেপ্টেম্বর ও ভুটান ২ মে, শিক্ষক দিবস পালন করে। ভিন্ন ভিন্ন দিনে শিক্ষক দিবস পালনের বিভিন্ন কারণ আছে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে থাকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। এই দিবসটি শিক্ষকদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য পালন করা হয়। ইউনেস্কোর মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পালন করা হয়। বিশ্বের প্রায় ১০০টির মতো দেশ এ দিবসটি পালন করে।বাংলাদেশ দিবসটি পালন করে ২৭ অক্টোবর। শিক্ষকদের অবদান স্মরণ করতেই বাংলাদেশ দিবসটি এ বছর গুরুত্বের সঙ্গে উদযাপন করে।

অবশ্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পৃথক পৃথক তারিখেও এ দিবসটি পালিত হয়। যার মধ্যে আর্জেন্টিনায় ১১ সেপ্টেম্বর, অস্ট্রেলিয়ায় ৩১ অক্টোবর, ভুটানে ২ মে, ব্রাজিলে ১৫ অক্টোবর, চীনে ১০ সেপ্টেম্বর, কলম্বিয়ায় ১৫ মে, হংকং ১০ সেপ্টেম্বর, ইন্দোনেশিয়ায় ২৫ নভেম্বর, ইরানে ২ মে, ইরাকে ১ মার্চ, মালয়েশিয়ায় ১৬ মে, নেপালে জুলাই মাসের মাঝামাঝি, নিউজিল্যান্ডে ২৯ অক্টোবর, সিঙ্গাপুরে ১ সেপ্টেম্বর, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৫ মে, স্পেনে ২৭ নভেম্বর, থাইল্যান্ডে ২১ জানুয়ারি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৭ মার্চ ও ভিয়েতনামে ২০ নভেম্বর শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, ক্যামেরুন, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, এস্টোনিয়া, জর্জিয়া, জার্মানি, কুয়েত, মালদ্বীপ, মরিশাস, মালডোভা, মঙ্গোলিয়া, মিয়ানমার, নেদারল্যান্ড, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন, পর্তুগাল, কাতার, রোমানিয়া, রাশিয়া ও সৌদি আরবে ৫ অক্টোবর দিবসটি পালন করা হয়।

শিক্ষক রোল মডেল, যাঁকে দেখে দেখে শিক্ষার্থীরা শিখবে। সমাজ শিখবে। শুধু সমাজের কাছে, রাষ্ট্রের কাছে কিছু দাবি করব আর সেই ধরনের কাজ করব না, তা কী করে হয়? সমাজের অধঃপতন হচ্ছে—এই দোষ দিয়ে বসে থাকলে বা সব হাল ছেড়ে দিলে হবে না। সমাজ কারা গড়বে? সমাজকে কারা নষ্ট করছে? এককভাবে কেউ না, সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের রয়েছে বিশাল ভূমিকা। 

শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নে নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন সূত্র থেকে, উৎস থেকে সর্বশেষ তথ্যাবলি সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে, নিজেদের পেশাগত উন্নয়নে, শিক্ষার উন্নয়নে ব্যবহার করতে হবে, কাজে লাগাতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষক সংগঠনগুলোকেও শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। শুধুু দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, কথাবার্তা, মিটিং আর মিছিল করলে জনসমর্থন ও শিক্ষার্থীদের সমর্থন পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

শিক্ষকতা পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন মেধাবী শিক্ষার্থীরা। রাষ্ট্র সঠিক মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা এ পেশায় আসছেন না। যারা আসছেন, তাদেরও ন্যায্য দাবির জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হচ্ছে। জানা যায়, দেশের ৯০ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারিভাবে পরিচালিত হলেও অনেক শিক্ষককে অভুক্ত থেকে দিন কাটাতে হয়। এমন অবস্থায় শিক্ষদের মর্যাদা-আর্থিক নিরাপত্তা দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।

পরিচ্ছন্ন ও সুষ্ঠু শিক্ষা বিস্তারের জন্য শিক্ষার্থীর অনুপাতে প্রয়োজনীয় শিক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহসহ যোগ্য, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ করা উচিত। শিক্ষকদের বেতন কাঠামো এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা এমনভাবে নিশ্চিত করা উচিত, যাতে স্বচ্ছন্দে তারা জীবনযাপন করতে পারে।  দূর করা উচিত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বেতন বৈষম্য।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭