ইনসাইড টক

‘জামায়াতকে রাজনীতি করার কোনো অধিকার দেয়া হবে না’


প্রকাশ: 27/10/2022


Thumbnail

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, জামায়াত ইসলামসহ এ জাতীয় যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, ধর্মকে ব্যাবহার করে যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তারা সম্পূর্ণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। এদেরকে কখনোই রাজনীতি করার সুযোগে আমরা বিশ্বাসী না। কারণ, এরা ১৯৭১ সালে যা করেছে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে মিলে এই ধর্মান্ধ গোষ্ঠী ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে, ২ লক্ষ মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি করেছে, যার বিনিময় এই দেশটি আমরা পেয়েছি, সেই স্বাধীন দেশে এদের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ ছিল না এবং দেওয়াও হয়নি।

নতুন নামে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধনের আবেদন, বিএনপির সভা-সমাবেশ ইত্যাদি প্রসঙ্গে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন। পাঠকদের জন্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্টের অবৈধ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৫ই আগস্টের খুনিদেরকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছে এবং সামরিক ফরমান জারি করে দালালদেরকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এই গোষ্ঠীদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করা, রাজনীতিতে পুনর্বাসন করা এমনকি গোলাম আযমের মত মানুষকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিল এই অবৈধ রাষ্ট্রপতি খুনি জিয়াউর রহমান। তার হাতে সৃষ্ট বিএনপি এবং পরবর্তী সময় বেগম খালেদা জিয়া, এরশাদ সকলে কিন্তু একই ধারাবাহিকতায়, একই রাজনীতিই বাংলাদেশে করেছে। সেই রাজনীতিটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের যে লক্ষ এবং অর্জন, ইতিহাস সবকিছুকেই ম্লান করে দিয়ে, বিকৃত করে, ধ্বংস করে পাকিস্তানি ভাবধারায় সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মাধ্যমে ১৯৭১ সালের পূর্বাবস্থায় বাংলাদেশকে ফিরিয়ে নেয়া। এর প্রক্রিয়ার সাথে বিএনপি জড়িত ছিল এবং বিএনপির সৃষ্টিকর্তা জিয়াউর রহমানের হাতেই এরা পুনর্বাসিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, একই ধারাবাহিকতায় এখনও তারা আছে। এরাই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছে, এদেরকে এমপি বানিয়েছে, এদেরকে মন্ত্রী বানিয়েছে, এমনকি ৭৫ এর খুনিদেরকেও পার্লামেন্টের এমপি বানিয়েছে খালেদা জিয়া, এরশাদ। ৭৫ এর খুনি ৭১ এর খুনি এমনকি ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলাকারী এদের একই চরিত্র একই ক্যারেকটার। এদের প্রাইম টার্গেটই ছিল শেখ হাসিনা। তাকে হত্যা করা। এখন আন্দোলনের নামে যে ১৯৭৫ সালের খুনিদের ভাষায় যে হুমকি দেয়, ধমক দেয় অথবা তারা সন্ত্রাসের কায়দায় ২০১৪-১৫ সালে যে বোমা হামলা করেছে, ভোট কেন্দ্রে হামলা করেছে, ভোটে যাবো না, ভোট করতে দেয়া হবে না, ভোট প্রতিহত করা হবে, নানা কথা বলে। তাদের কথার কোন ধারাবাহিকতা নেই। সুতরাং তারা এভাবেই মানুষকে ধোঁকাবাজি দিয়ে, মানুষকে বিভ্রান্ত করে। কিছুদিন পরে মির্জা ফখ্রুলরা বলবে জামায়াতের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই, তাদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক ছিল না, এদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে আওয়ামী লীগ, তাদের আওয়ামী লীগই রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছে, জামায়াত বেরিয়ে গেছে, নতুন নিবন্ধন নিয়েছে। এগুলো সব প্রতারণা, ঠকবাজি, একটা মুখোশ।

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, মূলত এই মুখোশধারীরা এক জায়গাতেই আছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, সেই গোষ্ঠী এক এবং অভিন্ন। তারা নানা ধরনের গেম প্ল্যান করে গেম খেলে এবং গেম করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় ফিরে যেতে চায়। শাসন, শোষণ, দুঃশাসন এমনকি সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পুনর্বাসনে প্রয়োজনে জঙ্গিবাদী উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মাঠে নামানোর পৃষ্ঠপোষকতা করে এবং বিরাজনীতিকরণের জন্য যত ধরনের উপাদান আছে রাষ্ট্রে তাদের ভেতরেও এরা এগুলোকে ছড়িয়ে দেয়। এর মূল লক্ষই হলো বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ যা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে সেটিকে বাধাগ্রস্থ করা।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭