প্রেস ইনসাইড

পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগ


প্রকাশ: 28/10/2022


Thumbnail

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিভিন্ন সময় বেশকিছু বক্তব্যের কারণে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন। এনিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে দাবি করেছিলেন যে, তাঁর বক্তব্য গণমাধ্যমগুলো ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে। সে নিয়ে তর্ক-বিতর্কও চলছে। এরই মধ্যে গত বুধবার (২৬ অক্টোবর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত “জাতিসংঘের আঙিনায় শেখ হাসিনা” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন। ওই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেননি অথচ টিভি, পত্রিকার অনলাইন ভার্সন এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য বলে প্রচার করে। যদিও পরবর্তীতে সংবাদগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ যা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেননি সেগুলো হলো:

“ড. মোমেন বলেছেন  “আমেরিকার কাজই যুদ্ধ করা, নয়তো তাদের অর্থনীতি চলবেনা” (এনটিভি),
“যুদ্ধ ছাড়া আমেরিকার অর্থনীতি চলবেনা” (ডিবিসি নিউজ),
“ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হলে তাইওয়ানে যাবে আমেরিকা” (সময় টিভি),
“মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি যুদ্ধনির্ভর” (সময় টিভি),
“যুদ্ধ ছাড়া মার্কিন অর্থনীতি সচল নয়” (যমুনা টিভি),
“যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধপ্রিয় দেশ, যুদ্ধ ছাড়া দেশটির অর্থনীতি সচল থাকে না” (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি),
যুদ্ধেই সচল থাকে যুদ্ধপ্রিয় আমেরিকার অর্থনীতি” (দেশ টিভি),
“ড. মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধপ্রিয় দেশ” (এটিএন নিউজ),
“সব দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করাই তাদের মূল কাজ” (চ্যানেল ২৪), “যুদ্ধের জন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সচল থাকে” (এসএ টিভি),
“যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি যুদ্ধ ছাড়া চলবেনা” (রেডিও টুডে),
“যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করাই হল যুক্তরাষ্ট্রের মূল কাজ” (আমাদের সময় ডটকম),
“যুক্তরাষ্ট্রের কাজই হলো যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করা” (ইনকিলাব),
“আমেরিকা যুদ্ধপ্রিয় দেশ, যুদ্ধ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি অচল” (দেশ রূপান্তর),
“যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করাই হলো যুক্তরাষ্ট্রের মূলকাজ” (মানব জমিন),
“আমেরিকার অর্থনীতি যুদ্ধ ছাড়া চলবেনা” (দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর)।

সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়ন চলছে। আর এই সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে এই ধরনের অসত্য সংবাদ কে বা কারা প্রকাশ এবং প্রচার করেছে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে । এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাঁরা মনে করছেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যারা সক্রিয় রয়েছেন তারাই মূলত এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচারের করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে জনসাধারণ এবং ওই রাষ্ট্রের কাছে বিভ্রান্তিকর বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭