ইনসাইড পলিটিক্স

মেহেরপুরে বিতর্কিত মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলা ছাত্রলীগ


প্রকাশ: 30/10/2022


Thumbnail

কাউন্সিল না দিয়েই নিজেদের মন মতো সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগ। বর্তমানে এসব কমিটির সদস্যরা কাগজকলমে এখনো পদ আঁকড়ে আছেন। কমিটিগুলো বিলুপ্তও ঘোষণা করা হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা কর্মী হিসেবে কাজ করছেন বা পদ পাওয়ার প্রত্যাশায় নেতাদের সঙ্গে ঘুরছেন, তাঁদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। এরই মধ্যে জেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক মেহেরপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন আগামী কাউন্সিলে প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করেছে সাবেক ছাত্র নেতারা।

জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে দুই বছর আগে। এছাড়াও মুজিবনগর ও মেহেরপুর পৌর ছাত্রলীগের কমিটির অবস্থাও জেলা কমিটির মতোই। তবে ইতোমধ্যে চলতি বছরের জুলাই মাসের ৩১ তারিখে গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মেহেরপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ২৩ অক্টোবর। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণেও জন-জীবনে কিছুটা ভাটা পড়ে ছিলো। তবুও পদ প্রত্যাশী ছাত্রনেতা-কর্মীদের এখন একটাই চাওয়া জেলা ছাত্রলীগের কাউন্সিল। জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের উদ্ধৃতিতে বেশ কিছু নেতাকর্মী জানিয়েছে গত সেপ্টেম্বর মাসেই কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকলেও অদৃশ্য কারণেই তা হয়নি।

ইতোপূর্বে, চলতি বছরের ৩১ জুলাই গাংনী উপজেলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সভাপতি ১ ও সহসভাপতি পদে ৫৩ জন, সাধারণ সম্পাদক ১ এবং যুগ্ম সম্পাদক ১১ জন যা কেন্দ্রীয় কমিটিতেও নেই। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলো বিবাহিত হয়েও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদ বিবাহিতদের দখলে। বিএনপি পরিবারের সদস্য ছাড়াও একজন চিহ্নিত ইয়াবা সেবনকারীও অন্তর্ভুক্ত এ কমিটিতে।

মেহেরপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের কমিটির তালিকা ফেসবুকে প্রকাশ করায়, লালন বিশ্বাস নামের একজন মন্তব্য করেন, বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা হয়েছে বিএনপির বাড়ির ছেলেকে কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি করায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই বিএনপির সমাবেশে যার বাপ যার চাচা একসঙ্গে গাড়ি বহরে মেহেরপুরে বিএনপির সমাবেশ করে সে কিভাবে ছাত্রলীগের পদ পাই। এভাবেই বিভিন্নভাবে সমালোচনার শীর্ষে রয়েছে মেহেরপুর জেলাসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট।

ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা আগামীতে যুবলীগ বা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদ প্রত্যাশী তাই নাম নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জেলা ছাত্রলীগের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও কাউন্সিলের তারিখতো কেন্দ্রীয় কমিটি দেই সেই জন্যই হয়তো পিছিয়ে গেছে। বিতর্কিত কমিটি অনুমোদনের ক্ষেত্রে বলতে গেলে এখন ছাত্র নেতারা অনেকেই মুল দলের নেতাদের মন রাখতে নিজেদের সংগঠনকে সঠিকভাবে সাজাতে পারেনা।

এ সকল কমিটি নিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাধঁন জানান, যে কোন সময় মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। আর পূর্ণাঙ্গ কমিটির ক্ষেত্রে আমরা উক্ত উপজেলা বা কলেজ কমিটিকে যাচাই বাছাই করে পুর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা জমা দিতে বলি। তারপর আমরাও কিছুটা যাচাই বাছাই করেই কমিটিগুলোর অনুমোদন দেই। তবে কলেজ কমিটির ১ নম্বর সহ-সভাপতি সাজিব আল শ্যামলের নামে কিছু বিতর্কের বিষয়ে শুনেছি। যদি গঠনতন্ত্র বা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোন কাজে সম্পৃক্ততার সুস্পষ্ট অভিযোগ পাই তাহলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭