সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে রডের আঘাতে ঊষা মনি (৬) নামের বিদ্যালয়ের এক শিশু শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
রবিবার উপজেলার শ্রীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন নতুন ভবনের প্রাঙ্গনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত উষা মণি উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মো.আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ও শ্রীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
রবিবার রাতে এ ঘটনায় সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আনোয়ারা এন্টারপ্রাইজ (জেবি)’র ঠিকাধার সহ ৪ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিদ্যালয় ও নিহতের পরিবারীক সূত্র জানায়, উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলার ছাদ থেকে রবিবার সকালের দিকে লোহার রড পড়ে যায় ওই বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ঊষা মণির উপর।
রডের আঘাত মাথায় লাগায় নির্মাণাধীন ভবন প্রাঙ্গণেই শিশুটি রক্তার্থ অবস্থায় সংজ্ঞাহীন হয়ে মাটিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। দ্রুত আহত শিশুর স্বজনরা ‘তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে’ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ওই শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরের দিকে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
রবিবার রাতে ‘শ্রীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের ‘নির্মাণাধীন’ তৃতীয় তলার ছাদের উপর থেকে বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীতে পড়ুয়া উষার মাথায় রড পড়লে রডের আঘাতে রক্তার্থ হয়েই তার অকাল মৃত্যু ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত উষা মণির পিতা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মো.আনোয়ার হোসেন বলেন, বিদ্যালয় ভবন নির্মাণকারী ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিকরা ভবন নির্মাণ সামগ্রী রক্ষণাবেক্ষণে দায়িত্বহীনতা ও অবহেলা জনিত কারণেই আমার শিশু কন্যা লোহার রডের আঘাতে অকালে মৃত্যুবরণ করেছে।
তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, নিহত শিশু কন্যার পিতা বাদী হয়ে অবহেলা জনিত কারণে অভিযোগ এনে ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকাধার সহ চার জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা আরও কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।