ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

প্রচারণার অভাব ও প্রতারণা, মুখ থুবড়ে পড়েছে প্রাণী বীমা


প্রকাশ: 30/10/2022


Thumbnail

জ্যোতিষ চন্দ্র দাস। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার ফান্দাউক গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় একজন মাছ বিক্রেতা। মাছ বিক্রির পাশাপাশি গরুর প্রতি ভালোবাসা থেকেই নিজের বাড়িতে গাভী পালন করতেন তিনি। দুধ বিক্রি করে ভালো আয়ও আসত তার। হঠাৎ একদিন অসুস্থ হয়ে পড়ে তার গাভী। পশু ডাক্তার আসতে আসতে নিস্তেজ হয়ে পড়ে গরুর শরীর। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় তার গরুটি। ঘটনার বর্ণনা দিতে দিতে কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে জ্যোতিষ চন্দ্র দাসের। এমন ঘটনার শিকার তিনি একা নন। সাপের কামড়ে ২০২০ সালে একই গ্রামের খামারি শিবা (২৫) এর গরু মারা যায়। প্রসব করতে গিয়ে মারা যায় আমেনা বেগমের ২টি গরু। অসুস্থ হয়ে, আঘাত পেয়ে, চুরি হয়ে, প্রসবকালীন কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে গবাদিপশু মারা গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমন হাজারো খামারি ছড়িয়ে আছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

একটা গরু মারা গেছে বিশ-ত্রিশ হাজার টাকা যায়। আমাদের জন্য বিশ-ত্রিশ হাজার টাকা অনেককিছু।

— শিবা,
ক্ষুদ্র খামারি



দেশের প্রান্তিক এলাকা গুলো ঘুরে দেখলে, প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগি এই গবাদিপশু গুলো দেখতে পাওয়া যায়। দেশের কৃষকদের একটি বৃহৎগোষ্ঠী গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি গবাদি পশু ব্যক্তিপর্যায়ে ও বাণিজ্যিকভাবে লালন-পালনের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষের প্রত্যক্ষ এবং প্রায় ২০ শতাংশ মানুষের পরোক্ষ কর্মসংস্থানের উৎস এই প্রাণিসম্পদ খাত। গবাদি পশু লালন-পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকেই। তবে প্রায়শই দেখা যায়, বিভিন্ন রোগ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পশুমৃত্যু ঘটে, যার ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন খামারিরা। অনেকের পক্ষেই এই ক্ষতির ভার কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়ে ওঠে না। নিঃস্ব সর্বস্বান্ত হয়ে যান অনেকে। দেশের খামারিদের আর্থিক সুরক্ষা বা নিরাপত্তার জন্য প্রাণিসম্পদ খাতে প্রাণী বীমার বিশেষ কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় পিছিয়ে পড়ছেন অনেক খামারিরা। প্রাণী বীমা কি? কিভাবে এই বীমা করার মাধ্যমে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা নেই দেশের বেশিরভাগ খামারির। আর যারা এ বিষয়ে জানেন বীমা করার ক্ষেত্রে তাদের ভীষণ অনীহা এবং অনাস্থা। কিন্তু কেন? এই প্রশ্ন জাগাটা খুবই স্বাভাবিক।

প্রথমেই জেনে নেই প্রাণী বীমা কি? প্রাণী বীমা হচ্ছে এমন একটি বীমাপত্র যার মাধ্যমে বীমার মেয়াদকালীন সময়ে বীমাকৃত প্রাণী চুরি হলে, হারিয়ে গেলে, দুর্ঘটনা বা অসুস্থতায় মারা গেলে তার সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দেবে বীমা প্রতিষ্ঠান। বীমা করা থাকলে দুর্ঘটনায় কোনো পশু মারা গেলেও খামারি বড় আর্থিক লোকসান থেকে রেহাই পাবে এবং সেক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়ানো তার জন্য অনেক সহজ হবে।

১৯৮১ সালে দেশে প্রথম প্রাণী বীমা চালু হয়। তবে বেশকিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে সেটি সফলতার মুখ দেখেনি। এর মধ্যে অন্যতম ছিল পশু শনাক্তকরণে প্রযুক্তির অভাব। যার ফলে প্রায়ই বীমা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক খামারিরা আবার কখনো অসাধু খামারিকর্তৃক বীমা প্রতিষ্ঠান প্রতারণার শিকার হতো। বীমার আওতার বাইরে থাকা পশু মারা গেলেও সেটিকে বীমার পশু বলে আবার পশু বাজারে বিক্রি করে সেই পশুকে হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হয়ে যাওয়া পশু বলেও বীমা প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ আদায় করত একদল অসাধু ব্যবসায়ী। আবার অনেক সময় বীমা করা পশু মারা গেলেও সঠিকভাবে শনাক্ত করতে না পারায় বীমার টাকা থেকে বঞ্চিত হতেন খামারিরা। ফলে বীমা নিয়ে মানুষের মনে একটি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। এছাড়াও ডিজিস ম্যাপ না থাকা, পশুর জীন সনাক্ত করে ডাটাবেজ তৈরি করতে না পারা ইত্যাদি কারণে উদ্যোগ নেয়া হলেও ওই সময় প্রাণী বীমা সফলতার মুখ দেখেনি।

কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রযুক্তিগত দিক থেকে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়েছে। পশু শনাক্তের বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয়েছে যার মাধ্যমে এখন নির্ভুল ভাবে পশু শনাক্ত সম্ভব। এর মধ্যে রয়েছে ফেস ডিটেকশন, ইয়ার ট্যাগিং, ট্যাটুয়িং, ইয়ার নচিং, মাজেল প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক চিপ এবং রেডিও কলার ইত্যাদি। ইতোমধ্যে ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স কোম্পানি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি শনাক্তকরণের মাধ্যমে এবং গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি এনএফসি যুক্ত কলার ট্যাগের মাধ্যমে গবাদি পশু চিহ্নিত, গবাদি প্রাণীর সঠিক স্বাস্থ্য ও অবস্থান রক্ষণাবেক্ষণসহ প্রাণিসম্পদের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রাণী বীমা প্রকল্প চালু করে। কিন্তু তারপরও নানা কারণে পুরোপুরি সফল হয়নি প্রাণী বীমার খাতটি।

বীমা করে কি হবে? বীমা করা মানেই লস, শুধু শুধু টাকা দেয়া।

— আওলাদ মিয়া,
ক্ষুদ্র খামারি



এর মধ্যে অন্যতম হলো সঠিক বীমা এজেন্ট তৈরি করতে না পারা এবং বীমা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রতারণা কিংবা হয়রানির শিকার হওয়া। বীমা প্রতিষ্ঠান এবং বীমা গ্রহণকারীর মাঝে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে বীমা এজেন্ট। বীমা প্রতিষ্ঠান এবং বীমা গ্রহণকারীর স্বার্থ রক্ষা করা এবং তাদের জবাবদিহিতার জায়গায় আনার ক্ষেত্রেও বীমা এজেন্টের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বীমা কোম্পানিগুলো মূলত গ্রাহক সংগ্রহ ও তাদের কাছ থেকে প্রিমিয়াম আদায়ের কাজটিও এজেন্টদের মাধ্যমেই করে থাকে। এর বিনিময় এজেন্ট কমিশন পেয়ে থাকে যা ২০১৯ সালে সরকার ১৫% নির্ধারিত করে দেয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই নিয়ম মানা হয় না। বীমার সমস্ত পলিসি এবং শর্তসমুহ গ্রাহককে সঠিকভাবে বুঝিয়ে না বলা, নিয়মিত প্রিমিয়াম না দিলে যে ক্ষতি হতে পারে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে গ্রাহকে পুরোপুরি অবগত না করেই কমিশনের লোভে বীমা করিয়ে ফেলেন যার ফলে পরবর্তীতে ভোগান্তিতে পরতে হয় গ্রাহকদের। অনেক সময় এজেন্ট গ্রাহকের প্রথম কিস্তি থেকেই তার কমিশনের পুরো টাকা নিয়ে ফেলেন যার ফলে পরবর্তী কিস্তিগুলো গ্রাহক ঠিক মতো দিচ্ছে কি-না সে ব্যাপারে তার আগ্রহ থাকে না। আবার যেহেতু প্রিমিয়ামের টাকা চলমান না রাখলে পলিসি বাতিল হয়ে যায় তাই কোন কোন কোম্পানিও সে সুযোগ নিয়ে যারা দ্বিতীয় বা পরবর্তীতে প্রিমিয়াম ঠিক মতো না দেয় তাদের পলিসি বাতিল করে অর্থ হাতিয়ে নিতো। এ ধরনের অস্বচ্ছতা এবং অনিয়মের কারণে পুরো বীমা ব্যবস্থার প্রতি মানুষের অনীহা এবং অনাস্থা চলে এসেছে। 

প্রাণী বীমা সফল না হবার পেছনে আরেকটি অন্যতম কারণ হলো খামারিদের বীমা না করার মানসিকতা। মানিকগঞ্জের ক্ষুদ্র খামারি আওলাদ মিয়া বলেন, ‘বীমা করে কি হবে? বীমা করা মানেই লস, শুধু শুধু টাকা দেয়া।‘ তার মত অনেকেই মনে করেন, বীমা করা মানে শুধু টাকাই দিয়ে যাওয়া। খামারিদের এমন ভুল ধারণার পেছনে মূল কারণ প্রান্তিক পর্যায়ে খামারিদের কাছে পৌঁছতে না পারা এবং প্রচারণার অভাব। বেশিরভাগ খামারি জানেনই না প্রাণী বীমা কি, কিভাবে বীমা করতে হয় এবং বীমা করার সুযোগ সুবিধাগুলো কি কি। 

প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও এগিয়ে নিতে, খামারিদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বীমার কোনো বিকল্প নেই। তবে এই খাতকে এগিয়ে নিতে হলে বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন। সরকার, প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সরাসরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। বীমা নিয়ে কোনো খামারি যেন প্রতারণার শিকার না হয় তা যেমন নিশ্চিত করতে হবে, পাশাপাশি বীমা নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে যেন প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিরাও প্রাণী বীমা সম্পর্কে সঠিক তথ্য এবং এর সুফল সম্পর্কে জানতে পারে। প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে বীমার এজেন্টদের আরও দক্ষ করে তুলতে হবে। এজেন্টরা যেন গ্রাহকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন এবং তাদের সঠিক ও নির্ভুল তথ্য প্রদান করেন সে ব্যাপারে নজরদারিতা বাড়াতে হবে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।



বাংলাদেশে যে সকল বীমা কোম্পানি আছে তারা সহজে লাভ এবং মানুষের ঝুঁকি যেখানে কম সেই জাতীয় বীমা করতে বেশি আগ্রহী।

— শ ম রেজাউল করিম,
মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়






একজন খামারি যেন খামার করার জন্য সহজে ঋণ পায়, সেজন্য ব্যাংকগুলোকে বিশেষ ফান্ড গঠন করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। দেশের বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে দেখা যায়। এসব প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধ করতে না পারার খবরও প্রায় সময় পাওয়া যায়। ফলে তারা ঋণ খেলাপিতে পরিণত হয়। যার ফলে দেশের ব্যাংকিং খাত এবং অর্থনীতি দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথচ একজন কৃষক কিংবা খামারিকে ঋণ পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। ঋণ পেতে তাদের জামানতের প্রয়োজন হয়। এই খামারিরা যেন সহজ শর্তে ঋণ পান এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি একজন খামারি যেন বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন কারণে তার পশু মারা গেলে সেই ক্ষতি কাঠিয়ে ওঠতে পারে, সেজন্য প্রাণী বীমা নিশ্চিত করতে হবে। এতে করে খামারিদের জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ সহজ হয়ে উঠবে এবং ব্যাংক গুলোর দেয়া ঋণেরও নিশ্চয়তা থাকবে।

আমাদের দেশে এক লক্ষ টাকার একটি মোটরসাইকেল কিনলে সেটির জন্য বীমা বাধ্যতামূলক। বীমা করা না থাকলে ট্রাফিক পুলিশ মামলা করেন। একটি মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করলে সেই মোটরসাইকেল পুরোপুরি ধ্বংস হয় না, তার একটি মূল্য থাকে এবং ক্ষয়ক্ষতির জন্য তিনি বীমা কোম্পানি থেকে ক্ষতিপূরণ পান। অথচ এক লক্ষ টাকা দামের গরুটি যখন মারা গেলে, তার কোনো মূল্য থাকে না। রোগ-বালাই, চুরি, বন্যা কিংবা অন্য কোনো দুর্যোগে যখন গরু মারা যায় তখন একজন খামারি সর্বস্বান্ত হয়ে যান। আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আর ঘুরে দাড়াতে পারে না। কিন্তু তিনি যদি সরকার বা কোনো বীমা কোম্পানির পক্ষ থেকে মৃত গরুটির জন্য ক্ষতিপূরণ পায়, তাহলে তিনি আবার ঘুরে দাড়াতে পারবেন। ফলে প্রাণিসম্পদ খাত আরও এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য যে নির্বাচনী ইশতেহার সেটি বাস্তবায়ন করা অনেক সহজ হবে।

প্রানিসম্পদ খাতে বীমার সম্ভাবনা সম্পর্কে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমাদের দেশে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া এ জাতীয় প্রাণী উৎপাদনে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এ পরিবর্তনকে ধরে রাখতে হলে খামারিরা যা উৎপাদন করে তদের কিছু কিছু বিষয়ে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার। সে ক্ষেত্রে বীমার ব্যবস্থা করা এখন সময় উপযোগী।

তিনি আরও বলেন, বীমার ব্যবস্থা না থাকলে একটি প্রাণী খামারে বেসরকারি ব্যাংক ঋণ দেয়ার সময় হিসেব করেন যে, এটা কোথায় দিচ্ছি। আবার একজন খামারি একটা বড় খামারে বিভিন্ন ভাবে ঋণ এনে খামার তৈরি করেন। তার এই প্রাণীগুলো যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারা যায় কিংবা অন্য কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে তার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা থাকে না। বাংলাদেশে যে সকল বীমা কোম্পানি আছে তারা সহজে লাভ এবং মানুষের ঝুঁকি যেখানে কম সেই জাতীয় বীমা করতে বেশি আগ্রহী। ঝুঁকি যেখানে আছে সেখানে বীমা করতে খুব বেশি তারা আগ্রহী না।

আমরা ইতোমধ্যে কিছু বিষয় চিন্তা ভাবনা করেছি। এ ব্যাপারে হয়তো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হবে। কিন্তু আমার জায়গা থেকে আমি বলবো, এটা কোনো জটিল বিষয় না। প্রাণীর জন্য বীমা নিশ্চিত করা এটা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এ প্রক্রিয়াটিকে খুব শীঘ্রই একটি পদ্ধতির মধ্যে নিয়ে আসতে পারবো বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

শুধু প্রানিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি না, এর গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং দীর্ঘস্থায়ী ভাবে যাতে এটি চলমান থাকতে পারে, সেটা করতে গেলে প্রানিসম্পদের সঙ্গে জড়িত সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে প্রাণীদের বীমার আওতায় আনার কোনো বিকল্প নেই।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭