ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাসপোর্ট জটিলতায় মালয়েশিয়া থেকে ফিরতে হতে পারে হাজারো বাংলাদেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 31/01/2018


Thumbnail

বাংলাদেশ মিশনের উদ্যোগে দীর্ঘদিন যাবৎ দেওয়া ইন্সট্যান্ট কনস্যুলার সেবা বন্ধ হওয়ায় মালয়েশিয়ায় অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের এমন সিদ্ধান্তের কারণে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরতে হবে কয়েক হাজার বাংলাদেশিকে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ মিশনে ইন্সট্যান্ট কনস্যুলার সেবার মধ্যে ছিল সব থেকে বেশি বয়স, পুরাতন পাসপোর্ট নম্বর না থাকা এবং নামের সংশোধন। যে সেবাটি এমআরপি পাসপোর্ট নিমার্ণের শুরু থেকে এ যাবৎ পর্যন্ত দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ মিশন এবং এতে সুফল ভোগ করছিল সাধারণ প্রবাসী শ্রমিকরা।

২০১৬ সালে মালয়েশিয়া সরকারের রিহিয়ারিং প্রকল্প বা অবৈধদের বৈধতা ঘোষণার পর থেকে বাংলাদেশ মিশনে নতুন মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তৈরির হিড়িক পড়ে। এর মধ্যে বড় অংশ ছিল হাতে লেখা পাসপোর্ট ব্যবহার ও নদী পথে মালয়েশিয়া আগমন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অধিকাংশ প্রবাসী বাংলাদেশ হাতে লেখা পাসপোর্ট তৈরি সময় বয়স বৃদ্ধি ও বিভিন্ন তথ্য ভুলের থাকায়, নতুন মেশিন রিডেবল পাসপোট নির্মাণের ক্ষেত্রে নানা রকম ভুল-ভ্রান্তির শিকার হতে হয়। হাতের লেখা পাসপোর্টের সঙ্গে নতুন এমআরপির নাম বা বয়সে মিল না থাকায় ভিসার জন্য মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত আসতে হয় প্রতিনিয়ত। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ মিশন দীর্ঘদিন যাবৎ এমআরপি পাসপোর্টের ৪৪ নম্বর পৃষ্ঠায় এন্ডোজমেন্টের মাধ্যমে তৎক্ষণাত সমস্যা সমাধান করে আসছিল।

কিন্তু গত পয়লা জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে উন্নত সেবা প্রদান ও সহযোগিতার লক্ষ্যে ঢাকা আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে প্রজেক্ট ডিরেক্টর, অ্যাডিশনাল প্রজেক্ট ডিরেক্টরসহ ২৪ জনের একটি দল মালয়েশিয়ায় আসেন। এ সময় ৪৪ নম্বর পৃষ্ঠায় এন্ডোজমেন্ট করে মিশনের ইন্সট্যান্ট কন্স্যুলার সেবার বিষয়টি ঢাকায় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে অবহিত করে।

পাসপোর্ট, ভিসা ও পরিদর্শন বিভাগের পরিচালক মো. সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি গত ১৮ই জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রেরণ করলে ২৫ জানুয়ারি থেকে ইন্সট্যান্ট কন্স্যুলার সেবা বন্ধ করে দেয় মিশন কর্তৃপক্ষ। এ সময় সংশোধনের জন্য নতুন নিয়ম করা হয়েছে ১০০ টাকার স্ট্যাম্পের উপর প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে এফিডেভিট, ল মিনিস্ট্রি ও ফরেন মিনিস্ট্রি থেকে সত্যায়িত করে অর্জিনাল কপি আনতে হবে এবং নতুন করে রি-ইস্যুর জন্য আবেদন করতে হবে । আবেদনের ৪০ থেকে ৪৫ দিন পর নতুন পাসপোর্ট হাতে পাবে। এতে করে বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগী অনেক প্রবাসী। মালয়েশিয়া সরকারের বেদে দেওয়া সময়ের মধ্যে , পাসপোর্ট হাতে না পেলে অবৈধই থেকে যাবে অনেক প্রবাসী।

রিহিয়ারিং প্রকল্পের জন্য ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে ইমিগ্রেশনে ফিংগারের এখনও কয়েক মাস বাকি। এর মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত কোনভাবেই কাম্য নয়। ডিআইপির এমন সিদ্ধান্তে কয়েক হাজার প্রবাসী। এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে দ্রুত সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে না পেলে, শুধুমাত্র পাসপোর্ট জটিলতার কারণে দেশে ফিরতে হবে কয়েক হাজার বাংলাদেশিকে।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭