ইনসাইড বাংলাদেশ

১ নভেম্বর থেকে জাটকা’ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা


প্রকাশ: 01/11/2022


Thumbnail

ইলিশ রক্ষায় জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে পহেলা নভেম্বর থেকে। যা চলবে আগামী বছর ৩০জুন পর্যন্ত। এসময়ে সারাদেশে বাচ্চা ইলিশ অর্থাৎ ‘জাটকা’ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আদেশ অমান্য করলে রয়েছে শাস্তির ব্যবস্থাও। এ কার্যক্রমকে সফল করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলীয় এলাকায় নেয়া হয়েছে বাড়তি নজরদারীর ব্যবস্থা।

ইলিশ সাধারণত সারাবছরই কমবেশি ডিম ছাড়ে। কিন্তু আশ্বিন মাসের ভরা পূর্ণিমাকে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ধরা হয়ে থাকে। যেকারণে ওই সময়ের প্রজননকৃত ইলিশ মাছের ছোট পোনা নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় বিচারণ করে। সেখান থেকে বিস্তার লাভ করে জাটকা ধীরে ধীরে বিভিন্ন মোহনা ও নদ-নদীতে প্রবেশ করে অবাধ বিচরনের জন্য।

এ লক্ষ্যেই সরকার নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত সারাদেশে ১০ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটারের চেয়ে ছোট ইলিশ (যাকে জাটকা বলা হয়) ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এরফলে পরবর্তীতে ইলিশের উৎপাদন অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে মৎস্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

এ কার্যক্রম চলাকালীন পুনর্বাসনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় জেলেরা হতাশ। মাঝে মধ্যে  সামান্য সাহায্য সহযোগিতা আসলেও তা বণ্টনে নানা অভিযোগ করেন ক্ষুব্ধ জেলেরা।

আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লা বাংলা ইনসাইডার কে জানান,  ইলিশ রক্ষার্থে সরকার কাজ করছেন, সচেতন জেলে হিসেবে আলিপুর কুয়াকাটা মৎস্য সমিতির সকল জেলেরা সচেষ্ট আছে অবরোধ সঠিকভাবে মেনে চলছেন, (জাটকা মারবো না জাটকা ধরবো না) এই স্লোগানে তারা একমত কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা যারা কারেন্ট জাল, ছোট ফাসের জাল জাটকা নিধন হচ্ছে যারা করছেন কোস্ট গার্ড, মৎস্য কর্মকর্তা  সহ বিভিন্ন নদী-খাল মোহনায় বেহুন্দী জাল, বের জাল যেগুলো দিয়ে, ছোট ছোট জাটকা নিধন হয় এগুলোর উপরে কঠিন করা উচিত আর যে জাল গুলো গভীর সমুদ্রে লাল জাল  জেলেরা ব্যাবহার করেন এগুলো আসলে জাটকা নিধন হচ্ছে না, আর জেলেরা জাটকা নিধন না করার পক্ষে এখন সচেতন হচ্ছেন। কারণ আজকের জাটকা পরবর্তী দিনে বড় ইলিশ এই স্লোগান তারা বিশ্বাস করেন এবং এর সুফল তারা ভোগ করেছেন, তাই এখন ও যারা এই কারেন্ট  জাল ছোট ছোট  জাল দিয়ে যারা  জাটকা নিধন করছেন কোস্ট গার্ড এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এদেরকে ধরে উপযুক্ত শাস্তির বিধানে আনায়ন করলে জাটকা নিধন বন্ধ হবে। 

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা  এস এম আজহারুল ইসলাম বাংলা ইনসাইডার কে জানান , প্রতিবছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এই ৮ মাস  ২৫ সেন্টিমিটার, ১০ ইঞ্চি ছোট ইলিশ যাকে জাটকা বলা হয় এটা ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকে।  এই উপলক্ষে জেলেরা যাতে  এ আইন মেনে চলে, আমরা   ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়েছি জেলেদের মধ্যে সচেতনতা মূলক সভা, লিফলেট বিতরণ করেছি।

আমাদের বিশ্বাস  দীর্ঘদিন ধরে এই কার্যক্রমে  জেলেরাও সচেতন যে জাটকা ধরা নিষিদ্ধ এবং এটা যদি না ধরে তাহলে আমরা আগামীতে বড় ইলিশ পাবো জেলেদের মধ্যে এই বিশ্বাস জন্মাতে সক্ষম হয়েছি সুতরাং আমরা আশা করছি আগামী এই ৮ মাস ছোট ইলিশ বিশেষ করে জাটকা ইলিশ ধরা থেকে জেলেরা বিরত থাকবে তারপরও আমরা নদীতে নিয়মিত ভাবে মোবাইল কোর্ট  এবং অভিযান  পরিচালিত করবো যাতে জেলেরা এই জাটকা মাছ না ধরতে পারে, গোপনে যদি এই মাছ ধরে, আমরা পরিবহনের সময় বিভিন্ন যে চেকপোস্ট আছে সেখানে আমরা নিয়মিত ভাবে চেকিং এর ব্যবস্থা করবো পরিবহনের সময় আমরা তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবো এবং অভিযান পরিচালনা করবো। 

উপকূলীয় পটুয়াখালী জেলায় অন্তত পঞ্চাশ হাজার জেলে রয়েছে। যারা সাগর বা মোহনায় জাল দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহী করে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭