ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে এবার সন্দেহ নজরুল ইসলামকে ঘিরে


প্রকাশ: 02/11/2022


Thumbnail

বিএনপিতে সন্দেহের রাজনীতির অন্ত নেই। দলের ভেতর কানাঘুষা আছে নির্বাচনের আগে দল ভাঙার শঙ্কাও। বিএনপি যদিও এখন রাজপথে আন্দোলন করছে, তাদের শক্তির প্রর্দশন করছে। কিন্তু আড়ালে কেউ কেউ সরকারের সঙ্গে আঁতাত করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। অতীতেও দলটির মধ্যে এ ধরনের অভিযোগ আর সন্দেহ ছিল এবং কিছু কিছু সেক্ষেত্রে সেগুলো সত্যিও হয়েছে বটে। আর বিএনপিতে সন্দেহের তালিকায় সবার উপরে আছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বিএনপি নির্দলী নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে গত প্রায় ১৫ বছর ধরে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না বলে ঘোষণা করেছে। আর সে কারণে ২০১৪ সালের নির্বাচন বিএনপি বর্জন করেছে। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা আগের অবস্থান থেকে সরে আসে এবং মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যফন্ট্রে যোগ দেয়। জোটে যোগ দিয়ে তারা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেয় এবং ঐক্যফন্ট্রের শোচনীয় পরাজয় ঘটে। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী মনে করেন যে, সে সময় তারা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। তারা মনে করেন যে, ড. কামাল হোসেন আসলে সরকারের এজেন্ডা হিসেবে কাজ করেছে এবং তাকে সহযোগিতা করেছেন মির্জা ফখরুল। ফলে বিএনপিতে ফখরুলকে নিয়ে এক ধরনের সন্দেহ রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির সিনিয়র নেতা আমান উল্লাহ আমান যখন বলেছেন যে, আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের কথা দেশে চলবে। তার এই বক্তব্যের পর দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের আশার সঞ্চার হয়েছিল। পাশাপাশি আমানের বক্তব্য নিয়ে রাজনীতিতে নানা সমালোচনাও হয়েছে। এমন সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম জানান, ১০ ডিসেম্বরের পর কিছু হবে না। আমি দলের মহাসচিব, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, ১০ ডিসেম্বরের পর কিছুই হবে না। তার এই বক্তব্যে পর তাকে নিয়ে বিএনপিতে আবার সন্দেহ তৈরি হয়। প্রশ্ন উঠে তাহলে কি মির্জা ফখরুল সাহেব অতীতের মতো আবারও সরকারের সঙ্গে আঁতাত করছে?

তবে এই সন্দেহের তালিকায় শুধু মিজা ফখরুল নন, এবার এই তালিকায় নিজেকে যুক্ত করলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। গতকাল রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের জনসমর্থন নেই আমরা কখনও বলিনি। আমরা বলেছি যে, তাদের জনসমর্থন এখন কমে গেছে। অথচ বিএনপি তাদের সভা সমাবেশে দাবি করে থাকে আওয়ামী লীগের কোনো জনসমর্থন নেই। বিএনপি এতোদিন ধরে দাবি করে আসছে আওয়ামী লীগ ২০১৮ নির্বাচনে বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু নজরুল ইসলাম খানের কথা খন্ডালে দেখা যায়, ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ জনসমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তবে ইদানিংকালে তাদের সেই জনসমর্থন কমে গেছে। যা বিএনপির অবস্থানের স্ববিরোধী। আর এ কারণে এবার নজরুল ইসলাম খানকে নিয়ে বিএনপিতে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। দলের ভেতর প্রশ্ন উঠেছে যে, তাহলে কি মির্জা ফখরুলের পথেই হাটছেন নজরুল ইসলাম খান?



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭