ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে চমকের নাম লিটন


প্রকাশ: 04/11/2022


Thumbnail

খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় চার নেতার সন্তান। এইচএম কামরুজ্জামান রক্ত দিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাথে কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। বঙ্গবন্ধুর নীতির প্রশ্নে কখনো আপস করেননি। আর সেকারণেই জাতীয় চার নেতাকে আলাদা সম্মান এবং শ্রদ্ধার চোখে দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালে দেশের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি কোনো না কোনো সময় জাতীয় চার নেতার সন্তান-উত্তরাধিকারদেরকে গুরুত্ব দিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রেখেছেন। সেই বাস্তবতায় খায়রুজ্জামান লিটন এখন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়রও বটে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনীতিতে খায়রুজ্জামান লিটনকে অনেক বেশি সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। তিনি যেমন বিভিন্ন জায়গায় লেখালেখি করছেন আবার প্রেসিডিয়াম সদস্য হওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও তার উপস্থিতি দৃশ্যমান হচ্ছে এবং তিনি অনেকটাই পাদপ্রদীপে এসেছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যারা নিষ্কলুষ এবং কোনো রকম দলীয় কোন্দল বিতর্কের ঊর্ধ্বে তাদের মধ্যে অবশ্যই লিটন অন্যতম। 

রাজশাহীতে রাজনীতি করেছেন কামরুজ্জামানের পুত্র। কিন্তু অহংকার বিবর্জিত এই মানুষটি রাজনীতিতে রক্তের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। শেখ হাসিনার প্রতি আনুগত্য, বিশ্বস্ততায় তিনি যেমন কখনো কার্পন্য করেনি তেমনি নীতি এবং আদর্শের ব্যাপারেও কখনো আপস করেননি। তার প্রশাসনিক অনেক কাজ নিয়ে বিতর্ক হতে পারে, তার দক্ষতা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করতে পারেন। কিন্তু তার নীতি আদর্শ এবং নেতার প্রতি আনুগত্য নিয়ে কেউ কখনো প্রশ্ন করতে পারবে না। লিটন আওয়ামী লীগের বিরল নেতাদের মধ্যে একজন যার কোনো গ্রুপ নাই। তিনি একটিই গ্রুপ করেন সেটি হলো শেখ হাসিনার গ্রুপ। শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কারো প্রতি তিনি কখনো আসক্ত হননি, অনুগত হননি। এটি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখন একটি বিরল ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি যখন যে নির্দেশ দিয়েছেন সেই নির্দেশ পালন করা, আওয়ামী  লীগ সভাপতির আদর্শ অনুসরণ করে রাজনীতি করা এটাই যেন লিটনের রাজনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য। যেমনটি ছিল তার পিতার। যিনি বঙ্গবন্ধুর কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা এবং বঙ্গবন্ধুর নীতি এবং আদর্শ অনুসরণ করে চলাকেই তার রাজনৈতিক জীবনের ব্রত মনে করতেন। ঠিক তেমনি খায়রুজ্জামান লিটনও একনিষ্ঠ এবং সততা ভরপুর একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনেক সময় চমক তৈরি হয়েছে। ১৯৯২ সালের কথাই ধরা হোক। সেই সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছিল আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, আব্দুল জলিলের নাম।  তিনজনের মধ্যে কে সাধারণ সম্পাদক হবে এ নিয়ে বিরানব্বইয়ের সেপ্টেম্বরের কাউন্সিলে নানারকম আলাপ-আলোচনা এবং দিনভর উত্তেজনা চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি একটি চমক দেখান। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচন করেন জিল্লুর রহমানকে। জিল্লুর রহমান সেই সময় শুধু একটি চমকই ছিলেন না। বরং রাজনীতিতে মাইম্যান সৃষ্টি করার বিরুদ্ধে তিনি শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের স্বার্থকেই ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছিলেন। খায়রুজ্জামান লিটন সে কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতির পছন্দের ব্যক্তি হতে পারেন, হতে পারেন এবার সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য একটি বড় চমক। কারণ, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে লিটনের কোনো কোটারি নেই, মাইম্যান নাই। তিনি শুধুমাত্র শেখ হাসিনার ম্যান। আর এ কারণেই যাদেরকে নিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনা হচ্ছে তাদের বাইরে হঠাৎ করে সব আলো আছড়ে পড়তে পারে খায়রুজ্জামান লিটনের ওপর। দেখার বিষয় আগামী ২৪ ডিসেম্বর কাউন্সিলে কি হয়।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭